মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্বাধীনতা তুমি


-মাহ্দী কাবীর
স্বাধীনতা তুমি
ধূসর দুপুরে শুকিয়ে যাওয়া
কয়েক গুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া ফুল।
স্বাধীনতা তুমি
শিয়াল শুঁকুনের ছিড়ে নেওয়া
এক রমণীর কয়েক মুঠো চুল।
স্বাধীনতা তুমি
কাকতন্দ্রা হয়ে অপেক্ষারত
তীর্থের কাকের প্রিয় সেই মুখ।
স্বাধীনতা তুমি
একটা ক্ষত, একটা ক্ষতকে
ভুলে তোমাকে পাওয়ার সুখ।।

চট্টগ্রাম
রচনাকাল : ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১৭

দেশ কিনেছি প্রাণে

-মুহম্মদ কবীর সরকার

দেশ কিনেছি প্রাণেরে ভাই দেশে কিনেছি প্রাণে
রক্ত নদীর বন্যার স্রোতে- নয়তো কারো দানে।
দেশ কিনেছি ভাষণ দিয়ে আমার প্রাণের নেতার
বাঙ্গালিরা ঝাঁপিয়ে পরে- লক্ষ্য ছিল জেতার।
দেশ কিনেছি রক্ত দিয়ে আমার তাজা ভায়ের
দেশ কিনেছি সম্ভ্রম দিয়ে লক্ষ বাংলা মায়ের।

অন্যায় আর ভাষা দখল
বেরসিক আর পায়ে শিকল- সব ভেঙ্গেছি গানে।
আধার মাড়িয়ে ভোর এনেছি
লাল-সবুজের দেশ কিনেছি- পাইনি কারো দানে।

দেশ কিনেছি প্রাণেরে ভাই দেশ কিনেছি প্রাণে
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের 'জয় বাংলা' গানে।।

শিক্ষার্থী :চট্টগ্রাম
রচনাকাল: ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১৭।

বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

কবিতারা জেগে আছে

-মাহ্দী কাবীর
আমি তুমি অতঃপর বৃষ্টি...
আমাদের মধ্যে ছিল অনেকটাই মিল।
অতঃপর কিছু দুষ্টু জল
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ঠেকে অবিরাম ঝরছিল
ঐ বৃষ্টির জল আমি কুড়িয়ে ছিলাম।
বলেছিলাম, 'অনু দেখো জলটা কত্ত নীল!'
তুমি বললে, 'নীল,তুমি সত্যিই বোকা
ওটা নীল জলের অনু!'
আমি বললাম,
'ওটা তোমার প্রেমের স্পর্শে নীল হয়েছে
তোমার স্পর্শে সব কিছু নীল হয়?'
তুমি মৃদু হেসে বললে,
'তুমি বুঝি নীল হচ্ছো?'
যদি হয় তবে!
তুমি বললে, 'তাহলে তুমি ভালোবাসা বুঝোইনা
কিছু বিষাদ নাও, তবেই ভালোবাসা পরিপূর্ণ হবে।'
আমি বললাম, 'আমি তোমায় ছাড়া
কিছুই ভাবতে পারি না অনু।'
অতঃপর আমায় জড়িয়ে ধরে
তুমি বললে,'আমি তোমারি থাকবো,
যদি তুমি আমায় তোমার হৃদয়ে ঠাই দাও।'
তখন তুমি তোমার যুগল ঠোঁটে আমার ঠোঁট রেখে ,
যুগল চোখে চোখ রেখে, যুগল হাতে হাত রেখে
আমায় বন্ধী করেছিলে।
তাই দেখে হয়তো মেঘেরাও লজ্জা পেয়েছিল
তাই বোধ হয় সে আর বাতাসের ওপর ভর করে থাকতে পারেনি।
গলে গেলো প্রেমের উষ্ণতায়, আকাশকে নীল করে দিয়ে-
ছোঁতে চাইলো বৃষ্টির ছলে তোমায়।
সহসা বৃষ্টি থমকে দাঁড়ালো,
থমকে দাঁড়ালো তোমার আমার প্রেম।
না, তা বললে ভুল হবে তোমার কাছে তো প্রেম অনুভব করার বিষয়।
হয়তো আজও সে আছে তোমাতে আমাতে।
অথচ দেখো, আজ তুমি আর আমি শত আলোক বর্ষ দূরে।
ইচ্ছাই হোক অনিচ্ছাই হোক,
তুমি আজ দূরে,বহু দূরে...
অতঃপর আমি, আর অদৃশ্য তুমি, অর্থাৎ তোমার ছায়া।
অতঃপর কবিতা।
অদৃশ্য তুমি আর কবিতারাই বুঝি ভালোবাসা ছিল।
হয়তো তুমি কবিতাদের কথা-ই বলেছিলে
তারপর হারিয়ে গেলে কবিতাদের ভিড়ে।
যতদিন যাচ্ছে ততো তোমায় ভেবে কবিতা জন্ম নিচ্ছে।
প্রেমের নব প্রজন্ম কবিতা!
প্রতিটি সিগারেট পুড়িয়ে জন্ম হয় এক একটি কবিতা।
শুধু তোমায় ভেবে তারা আজও জেগে আছে,
তারা আজও কথা কয় তোমার হয়ে
এর সাথে আমিও আরেকবার নীল হয়।
১৪/২/১৭ইং
চট্টগ্রাম।
উৎসর্গ : সুদীপ তন্তুবায় নীল ও অনুরাধা অনু।(ভারত)

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

কবিতার জননী

এই মেয়ে...
আমি তোমায় বলছি!
তুমি কি আমার কবিতার উপমা হবে?
তোমায় ভেবে কবিতা জন্ম দিব!
তুমি হবে কবিতার জননী!
আর আমি ডট ডট ডট...
অতঃপর তোমায় নিয়ে আর ভাববো না।

মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭

বিয়ের অ্যাসাইনমেন্ট


-মাহ্দী কাবীর
পড়া লেখা শেষ করেছিস তো বাবা,এবার একটা বিয়ে কর।
- কী বল মা! আমার পড়া লেখা শেষ হয়েছে ক্যারিয়ার তো শুরুই করিনি! তারপর চাকরী, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। মা তুমি ও না।
- বাবা আমাদের এত অর্থ সম্পদ কি করবো তুই যদি কাজ করেই খেতে হয়।
- ওটা তো বাবার সম্পত্তি আমার তো কিছুই নেই।
- তাছাড়া সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে প্যারিস থেকে ডিগ্রি এনেছি বিয়ে করে বাবার সম্পত্তি খাওয়ার জন্য!
- তুই যা-ই বলিস না কেন, আমি তোর জন্য মেয়ে দেখছি!
-মা আমাকে অন্তত আরো কয়েকটা বছর ভাবতে দাও।
- তুই যা পারিস কর আমি আর কিছুই বলবো না।

খুব সহজে বিয়ে করা আমার কাছে খুব একটা সহজ ছিল না। জীবন সঙ্গি মন মতো না হলে ঘরে অশান্তি লেগেই থাকে। কেননা বিয়ের পর মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। সে পরিবর্তন হতে পারে ইতিবাচক বা নেতিবাচক। জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেছেন পৃথিবীতেই সেই ব্যক্তি-ই সুখী যার জীবনসঙ্গী মনের মতো হয় আবার সেই ব্যক্তি-ই অসুখী যার জীবন সঙ্গী মনের মত হয়না। কিন্তু আমি কীভাবে মাকে বুঝাবো বিয়ে করা এতো সহজ জিনিস নই। আপনি হয়তো দেখে থাকবেন বিভিন্ন দেশে বিবাহবিচ্ছেদ অহরহ ঘটে যাচ্ছে। তার এক মাত্র কারণই কিন্তু অসুখী। যখন দম্পতী যুগলে অমিলের বাসা বাধে, একে অপরকে বুঝতে চাইনা তখন-ই সেই অসুখ দেহে মনে ভর করে। আবার এটাও দেখে থাকবেন অনেক বৃদ্ধ দম্পতী যুগল আছে যারা এক মুহূর্তের জন্য কেউ কাউকে ছাড়া বাচতে পারেনা।
তাছাড়া আমি সমাজ বিজ্ঞানী সমাজকে নিয়ে আমার ভাবতে হবে তারপর বিয়ে। তাহলে আমার প্রথম এসাইনমেন্ট কি দিয়ে শুরু করা যেতে পারে! স্কুল ছাত্রদের আচার আচরণ স্বভাব চরিত্র সেটা দিয়েই শুরু করবো নাকি? বাংলাদেশের স্কুলে কি রকম পাঠ দান হচ্ছে সেটাই ভালো হবে।
আর হ্যা বলে রাখি আমি কিন্তু টাকা ও শিক্ষা দিয়ে জিডিপি নির্ণয় করি না। আমি সুখ দিয়ে জিডিপি নির্ণয় করি। আর হ্যা আমার নাম-ই তো বলা হল না আমি কাবীর। তাছাড়া পাহাড়ের প্রতি ও আমার ছোট থেকে-ই জোক ছিল। পাহাড়ি ছেলেমেয়েরা কীভাবে পড়ছে।
চলমান.....

নারী ও ফুল

তুমি ফুল হয়ওনা ঝরে যাবে
নয়তো ছিঁড়ে নিবে,
তুমি আদর্শ নারী হও।
-মাহ্দী কাবীর।

খুনি

থ্রিলার গল্প -খুনি
মুহম্মদ কবীর সরকার

জনমানব শূন্য দুর্গম পাহাড়ি পথে হেঁটে চলছে দুই ভাই। এক সময় তাদের একটা সুন্দর নাম ছিল। ছিল বেশ কিছু স্বপ্ন। বাবা ছিল, মা ছিল, বোন ছিল, ছিল একটা কুড়ে ঘর। সেখানে মাখামাখি করে বেঁচে থাকতো ভালোবাসারা। অনাহারে, শিক্ষাহীন, চিকিৎসাহীন ও এক বস্ত্রে দিনের পর দিন যেত, তবুও তাদের ভালোবাসার কমতি ছিল না। এখন তাদের সুন্দর কোনো নাম নেই।নেই কোনো ভালোবাসা। এখন তারা অজানা পথের পথিক। এখন তাদের পরিচয় ফেরারি আসামি!এখন তারা শুধুই খুনি!
দশবছরের এক শিশু তার ডান হাতের মাধ্যমাঙুল ধরে অজানা পথে হাটছে আরেকটি ৫ বছরের শিশু। তার বাম হাতে একটা লাশের মুণ্ডু(মাথা)। খানিক বাদে একফোটা করে রক্ত ঝরে পড়ছে সেই মুণ্ডু থেকে।যেন ঘন্টা খানেক আগে কারো দেহ থেকে আলাদা করা হয়েছে এই মুন্ডুটা। খানিক বাদে বাদে টপ টপ করে রক্ত ঝরে পড়ছে। তাজা রক্ত।

পরের দিন সারাদেশের প্রতিটি পত্রিকায় বড় বড় হেডলাইনে ছাপানো হয় "১০ বছরের ছেলে কাবীরের হাতে এক সেনাবাহিনী খুন" কাবীর, সেনাবাহিনীর মুণ্ডু ও তার ছোট ভাই ওমর(৫) নিখোঁজ। যে খুঁজে দিবে তাকে ১ লাখ টাকা পুরুষ্কৃত করা হবে। কেন খুন হয়েছে সেই সেনাবাহিনী তা কেউ জানে না, এমনকি কেউ জানতে ও চায় নি! এখন জনগণ, মিডিয়ার কাজ শুধুই দুটো ছেলেকে খুঁজে বের করা। সাথে ওই মুণ্ডুটা। কারো কোনো জানার আগ্রহ নেই, কেনো দুটো অবুঝ শিশু খুনি? যাদের খেলার কথা ছিল চোর পুলিশ। কেন তারা খুনি? কে তাদের মানসিক বিকাশের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে? তারা আজ বিকৃত মস্তিষ্কের দুটো নাবালক শিশু। আজ তাদের হাতে কাটা মুণ্ডু নিয়ে ঘুরার সুযোগ করে দিয়েছে এই পরিবেশ, এই দেশ।

ওমর বললো, 'ভাই আমার পানি তৃষ্ণা পেয়েছে আর কত হাঁটবো! " এই তো আরেকটু হাঁটলেই আমরা গন্তব্যে পৌছে যাবো।
-পানি তৃষ্ণা পেয়ে তো!
-পানি পান করবি?
- হ্যাঁ।
পানি কোথায় পাই। আশেপাশে তো জঙ্গল ছাড়া আর কিছুই নেই। রক্ত পান করতে পারবি?
-রক্ত পান করা যায় নাকি?
- তাছাড়া এটা মানুষের কল্লা!
সে আমাদের রক্ত পান করেছে, আমাদের সুখ খেয়েছে, ভালোবাসা খেয়েছে, আমাদের স্বপ্নগুলি খেয়েছে। আর তুই এই অমানুষের রক্ত পান করতে পারবিনা?
- ওমর(৫) বললো, ভাই তুই যা বলবি তাই করতে আমি প্রস্তুত। ওটা শুধু অমানুষের রক্ত তো দে পান করে নিচ্ছি।
অতঃপর ওমর সেনার মুণ্ডুর রক্ত দিয়ে তৃষ্ণা মিটালো।

অজানা পথে হেঁটে চলছে এই দুটো শিশু। তারা শুধুই জানে তাদের গন্তব্য জঙ্গলের পর নদীর ওই পাড়ে। যেখানে এই দেশের আইন চলে না। যেখানে অচল এই দেশের শাসন । রক্ত শূন্য মুণ্ডু হাতে হেঁটে চলছে। অতঃপর আরেকটি রাত। নির্জন ভয়ঙ্কর জঙ্গল। চুপটি করে একটি গাছ তলায় আশ্রয় নিল তারা। অনাহারে ও ক্লান্ত হয়ে ভাইয়ের বুকে ঘুমিয়ে গেছে ছোট্ট ছেলেটি। যার কাছে পৃথিবী অধরা। হ্যাঁ সে পৃথিবীকে দেখেছে, পৃথিবীকে দেখেছে নিষ্ঠুর, নির্মম। আজ এই ভয়ঙ্কর রাতে তাদের কোনো ভয় নেই। কেননা এর চেয়ে ও কঠিন রাত তাদের ভয় গুলিকে চোরে করে নিয়েছে। চুরি করে নিয়েছে তাদের শিশুত্বকে। আজ তারা শিশু নয়। আজ তারা পাঁচ ও দশ বছরের যুবক । পৃথিবী তাদের সুন্দর মস্তিষ্কে জন্ম দেয়নি, আজ তারা পৃথিবীকে আবার নতুন করে জন্ম দিবে।

ছোট্ট ছেলেটি ভাইয়ের বুকে ঘুমিয়ে মায়ের বুকের সাধ নিচ্ছে।

মা-বাবা, বড় বোন ও এই দুই ভাই মিলেই তাদের পরিবার ছিল। ভোরে মায়ের কুরান তিলাওয়াতে ঘুম ভাঙ্গতো। শিশিরে স্নান করা নগ্ন পায়ে ছোটে যেত তিন ভাই বোন পাড়ার মক্তবে। মক্তব শেষ করলেই সারা দিন তাদের খেলাধুলা, ঝগড়া আর মায়ের বকনি। কেননা তাদের স্কুলে পড়া নিষেধ ছিল। তাই তারা স্কুলে যেতে চাইলে ও পারেনি। এটা সরকারের আদেশ। তাদের সকল সম্পত্তি এখন জ্ঞানি ধার্মিকদের দখলে। এটাও সরকারের আদেশ।বাবা সারাদিন নিজের ক্ষেতে অন্যের গোলামি করতে হতো। বেলা শেষে অর্ধেক মজুরি নিয়ে বা না নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হতো।এটা ও সরকারের আদেশ। সারাদিন কাজ করে নিজের ক্ষেতে, দুই মুঠো খাবার ও জুটতো না।নিজের সকল ফসল তুলতে হত তথাকথিত জ্ঞানী ধার্মিকদের কুঠুরিতে। তাদের বুকের ওপর বসে জ্ঞানী ধার্মিক ও সরকার চুষে খেতো তাদের তাজা রক্ত। অতঃপর ফেলে দিত কঙ্কালসার। সারাদিনের মজুরী নিয়ে রাতে যেতো বাজারে। দোকানীরা তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতো চড়া দামে। এই ভাবেই তারা বেঁচে ছিল যদি তাকে বেঁচে থাকা বলে।তাদের নিষিদ্ধ করা হল মাছ ধরা, কৃষিকাজ এমন কি নাগরিকত্ব ইত্যাদি থেকে।তারা জানতো না কেন তাদের ওপর এত আগ্রাসন। পৃথিবীর কোনো ধর্ম কি এসব শিক্ষা দেয়? ধর্ম তো মানুষকে সভ্য বানাই, পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। তাহলে তারা( তথাকথিত জ্ঞানী ধার্মিক) কি নিজের ধর্ম পালনে ব্যর্থ?
সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে ও তারা(সরকার) ক্ষান্ত হয়নি। তাদের বাঁচতে দিল না। এক রাত্রে সেনাবাহিনী ও তথাকথিত জ্ঞানী ধার্মিকরা এসে হুমকি দিয়ে গেল" তোরা এই দেশ থেকে চলে যা ও এই দেশ তোদের নই। তোদের দেশ বাংলাদেশ।" ১৫ শতাব্দী থেকে বাস করে আসছে তারা।আজ বলছে এটা তাদের দেশ নই। কিন্তু তারা বাপদাদার ভিটামাটি থেকে যায়নি।

তারপর সেনা ও তথাকথিত জ্ঞানী ধার্মিক লোকেরা চালাই তাদের নিঃসংশয় অপকর্ম ও তাণ্ডব।
সেই রাতে এই বাচ্চাদের জীবনে ঘটে গিয়েছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা। বিকট শব্দ করে একদল ইউনিফর্ম পড়া সেনা বলপূর্বক প্রবেশ করলো তাদের ঘরে। তাদের বাবা বাধা দেওয়া তাকে গুলি খেয়ে মরতে হয়। তাদের মা ও বোনের ওপর নির্যাতন চালাই। তাদের এমন কিছুও দেখতে হল যা কখনো দেখবে তারা ভাবিনি। এই দেশ তাদের দেখিয়েছে। আচ্ছা দেশ নাকি মায়ের মত তাহলে দেশ কেন তার সন্তানের এত অবহেলা করে। দুটো ছেলে ধরে তাদের সামনে বিবস্ত্র করা হয় তাদের মা বোনকে। নির্মম ভাবে অত্যাচার করা হয়। এই কষ্ট সহ্য না করতে পেরে মারা গিয়েছিল তাদের দিদি। আধমরা হয়ে পরে ছিল গর্ভধারিণী মায়ের বস্ত্রহীন নিথর দেহ। একেরপর এক তাদের অত্যাচার চালাচ্ছিল। সবাই যখন চলে যাই তখন একজন সেনা ছিল সুযোগ বুঝে ওই সেনার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেয় বাচ্চারা।
-চলমান

প্রকাশিত কিছু লেখা

কুয়াশার ঝোঁপে এক উঠোন রোদ

কুয়াশার ঝোঁপে এক উঠোন রোদ
-মাহ্দী কাবীর
কুয়াশার ঝোঁপে লুকিয়ে দোয়েল,
বাগানবিলাস ফুল
মাকড়সা জালে শিশির স্নানে খেয়ে যায় শত দুল।
জমে আছে ফুল মেঘকালো চুল, শুষ্ক ঠোঁট কী চেয়ে?
দীর্ঘ রজনী পাড়ি দিয়ে যেন সূর্য উঠলো পিছিয়ে।
চিকচিকে রোদে মাকড়শা জালে মুক্তোরহার বুনে
কুয়াশার ঝোঁপ ভাঙ্গে যে চুপ প্রকৃতিরা জেনে শুনে!
ক্ষুধার্ত বাতাস ছুটে চলে যায় পাতা ঝরার দেশে
কুয়াশার ঝোঁপে ঘুমিয়ে পাহাড় জাগলো অবশেষে।
ভাঙ্গলো আজ পাখিদের ঘুম, কুয়াশার অবরোধ
শিশিরের গায়ে উপচে পড়লো উঠোন ভরা রোদ।

শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

এডলফ হিটলার

গল্পটা পথে পাওয়া
___________________
আজ চট্টগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরীতে এক বৃদ্ধ ব্যক্তির সাথে দেখা হয়। বয়স ষাট কিংবা সত্তর ছোঁবে।মাথায় চুলের কিছুটা ঘাটতি আছে।চোখে একটা সেকেলে চশমা। সম্ভবত একটু বেশিই বই পড়ে। আমি অবশ্য এই রকম ব্যক্তিদের সঙ্গ সব সময় প্রত্যাশা করি। সে (বৃদ্ধ) লাইব্রেরিয়ানকে জিজ্ঞেস করলো, স্যার "হিটলার " বইটা আছে কি? লাইব্রেরিয়ান বললো, "স্যার দয়া করে একটু অপেক্ষা করুণ, আমি খুঁজে দেখছি"। তখন আমি মেডিকেল থ্রিলারের জনক রবিন কুকের 'ব্রেইন'এর পাতাই মুখ গুঁজে বসা ছিলাম। আমার তখন মনে হল বৃদ্ধ লোকটির সঙ্গে সঙ্গ দেওয়ায় বোধ হয় ভালো হবে। তাছাড়া সচরাচর এই রকম বৃদ্ধদের দেখা কমই মিলে। আমি সকল বৃদ্ধদের সাথে মিশতেই ভাল লাগে।তবে ইতিহাস বাহক বৃদ্ধ পেলে তো কথাই নেই! যদিও এই প্রজন্মের কিছু ছেলেরা বৃদ্ধদের এড়িয়ে চলে। আমি মনে করি তাদের কাছে লুকিয়ে আছে সত্য, না দেখা ইতিহাস। আমি প্রথম তাকে সালাম দিলাম। দাদা বলেই সম্বোধন করলাম। দাদা আপনি যে হিটলার খুঁজছেন! আমরা তো তাকে ঘৃণিত ব্যক্তি বলেই যেনে এসেছি!
তোমার নাম কী?
আমি মাহ্দী কাবীর
তুমি কী কর?
দাদা,আমি ছাত্র।সিটি কলেজে পড়ি।
তুমি কি এই কলেজের ইতিহাস জানো?
আমি বললাম কিছুটা জেনেছিলাম।
এই কলেজের পূর্বেকার নাম ছিল কি বলতে পারবে?
না, দাদা।
নাইট কলেজ।
তখন আমাদের আড্ডাটা জমে গিয়েছিল।
সে বললো হিটলারকে কেন বিশ্বের ঘৃণিত ব্যক্তি বলা হয় জানো?
দাদা, হিটলার ইহুদীদের নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে তাছাড়া তার কারণে ২য় বিশ্ব যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায়?
হ্যা এই সব ঘটনার জন্য আমরা তাকে ঘৃণা করতেই পারি। কিন্তু জীবনী বলে অন্য কথা। আমার মনে হয় প্রত্যেকের হিটলারের জীবনী জানা উচিৎ।
তুমি কি জানো হিটলার নোবেল প্রাইজ পেয়েছিল।( চশমাটা খুলে নড়েচড়ে বসে) অবশ্য সে নোবেল প্রত্যাখ্যান করেছেন।হিটলারের মন্দ দিক যেমন আছে, ভালো দিকও তেমন রয়েছে।আমি তার ভালো দিক গুলিকে অনুসরণ করি। তার(হিটলার) ছিল দেশ ও সেনাদের পরিচালনা করার সুন্দর কৌশল। সে(হিটলার) ছিল গরীব ঘরের ছেলে কি ভাবে সে এই যায়গায় পৌছাই তোমাদের জানতে হবে। তিনি মনে করেন যুদ্ধ-ই শান্তি এনে দিতে পারে।
তাছাড়া আমি পাকিস্তান আমলে একজন মিলিটারি ছিলাম। মিলিটারি হিসেবে আমি হিটলারের আদর্শ গ্রহণ করি। আমি গ্রহন করি তার আপোষহীন সংগ্রাম।
-কিন্তু দাদা বোমা মেরে কি বীরত্ব প্রকাশ করা যায়? বোমা তো উপর থেকে যে কেউ মারতে পারে। যে কখনো একটা মাছি মারিনি সেও। দাদা, আমি মনে করি এটা তাদের ভীরুতা! প্রকৃত যোদ্ধা সে-ই, যে তলোয়ার হাতে লড়ে।
- হ্যা তুমি ঠিক বলেছো। তবে জাপানের হিরশিমা ও নাগাসাকি কিন্তু হিটলার ধ্বংস করিনি।
আমাদের আড্ডা থামিয়ে দিয়ে লাইব্রেরিয়ান এসে বললো, স্যার আপনার বই!
বই হাতে পেয়ে সে (বৃদ্ধ) বলল, অবশ্য বইটা আমার কাছে ছিল। কিন্তু আমার কোনো বন্ধু বোধ করি বইটি নিয়ে গেছে। তাই খুঁজে পাইনি।
চলমান.....
-Written By Mahdi Kaabir

রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

শীত এসেছে আবার

-মাহ্দী কাবীর
ধুম পড়েছে পিঠা পুলির
রসে ভরা খেজুরের,
ঘুম সেরেছে খুকু-খুকির
অপেক্ষা তো সে ভোরের!

ক্ষীর কুলি ও পিঠা পুলি
ভাঁপা পিঠার সমাহার,
শিশিরসিক্ত মিষ্টি রোদে
শীত এসেছে (যে) আবার!

শিক্ষার্থী : সরকারী সিটি কলেজ,চট্টগ্রাম।

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

শীত এসেছে শীত

-মুহম্মদ কবীর সরকার
শীত এসেছে শীত
কাপছে থুরো জোয়ান বুড়ো
গাইছে রামের গীত!
জলকে ছোঁলে যায় যে জ্বলে
সে তো বেজাই হিম,
জালাও আগুন শীত যে দিগুণ
ঠেকাতে খিমশীম।
লড়াই চলছে লড়াই চলছে
হবে কার হারজিত?
মোটা কাপড় লাগাও চাদর
শীত এসেছে শীত!

শিক্ষার্থী:চট্টগ্রাম

সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭

প্রাণী জগত জুড়ে চিন্তার ছাপ

মুহম্মদ কবীর সরকার
বাপরে বাপ কি যে গরম
বাড়ছে তাপ যায় যে দম
সূর্য একটা আস্ত যম!
বিদ্যুৎ বেটার পড়ে ঠেঁটা
বেড়াতে যায় হরদম।
যখন তখন লোডশেডিং
যারতার সাথে দেয় ডেটিং
এর একটা বিহিত হবে
পাড়া জুড়ে দেয় মিটিং
কোলাব্যাঙে দাবি তোলে
সূর্যের আলো বাড়ছে ভোলে
কমিয়ে দাও তার সেটিং।
পিঁপড়ে বাবু রেগে বলে
বাজে সব সেটিং মিটিং
ফেসবুকেতে দিবো হরতাল
ঠিক করো তো, তার দিন।
তোমরা যদি, না আসো তো
আমরা সংখ্যায় লাখ-কুটি!
আমরাই আমরাই করবো মুক্ত
আমার প্রিয় দেশের মাটি।
চুপ রও যতো নিচু জাতি
ক্ষেপে বলে ঘাসফড়িং,
চলো আগে ভাবতে হবে
কেন এত লোডশেডিং?
কোন প্রানীটার কারণে ভাই
দিনে দিনে বাড়ছে তাপ?
জগৎ জুড়ে চাপলো বসে
মস্ত বড় চিন্তার ছাপ!
সরকারী সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
পেন্সিল কাব্য:-৩১
ইত্তেফাক, ঠাট্টায় প্রকাশিত
১১/০৬/১৭ইং

নালিশ

মুহম্মদ কবীর সরকার
এক ছিল খুকি।সুন্দর সুন্দর দিন গুলি তার যাচ্ছিল।কখনো পুতুল সোনার বিয়ে দিয়ে। কখনো টিয়ামনির বিয়ে দিয়ে, কখনো বা প্রজাতির সাথে ভাব করে। প্রজাতির রং গায়ে মাখতো। তার ঘরে যেন উৎসব বারো মাসই লেগে থাকতো।পুতুল সোনার রঙিন শারী, খোপায় গাধা ফুল, লাল টিপ, পায়ে নুপুর কত্তো সুন্দর করে সাজাতো প্রতিদিন। জামাইবাবু কাগজের নৌকা দিয়ে উজান ডিঙি বেয়ে আসতো, জামাইবাবুর জন্য কত কি রান্না করতো পোলাও- কোরমা ডিম, দুধ আরো কত কি! জামাই বাবু এক বার খেলে আর ভুলতে পারতো না।
কিন্তু ইদানীং বেশ সমস্যায় পড়েছে খুকি। তার এই সুখে যেন কারো নজর লেগেছে। বিয়ে বিয়ে উৎসব আর টিকছেনা, পাজে টিকটিকি নাকি বরের বাপের কাছে বদনাম করেছে তাই তারা বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছিল না।অবশেষে রাজি হল।অপর দিক দিয়ে নেমন্তন্ন খাওয়ার জন্য আসার পথে বিষ পিঁপড়ের দল নাকি তার প্রাণের সখা গঙ্গাফড়িঙকে কামড়ে দিয়েছিল। জ্বালা শেষ নয় ইদানীং কেউ যেন এসে চুপিচুপি তার বিয়েবাড়ি সাঙ্গ করে দেয়, কিন্তু সে বুঝতে ও পারছেনা ধরতে ও পারছে না। খুকি ও তার বন্ধুরা মিলে
টুনটুনিকে এই রহস্য উন্মোচনের জন্য গোয়েন্দা হিসেবে নিয়োগ করলো। কয়েক দিন পড় টুনটুনি উন্মোচন করলো যে, কিছু দুষ্টু ইঁদুর আর একটি বিড়াল প্রতি রাতে তার সাজানো বিয়েতে বাড়িতে লুকোচুরি খেলে। মরণ মরণ লুকোচুরি খেলা, ধরা পড়লেই কেলু।
খুকি ভাবলো দুষ্টু বিড়াল ও ইঁদুর কে শাস্তি দিতে হবে।
সভা বসলো...
টিয়া বললো সখি চল আমরা একটা ফাদ দিয়ে ধরি।
খুকিমনি বললো ফাদ! কি রকম হতে পারে রে টিয়ামনি।
টিয়ামনি বললো আমরা বাজার থেকে একটি ফাদ কিনে আনি!
খুকি মনি : এই ভাবে সব দুষ্টুরা ধরা পরবে না। তাছাড়া তোর মনে নেউ কিছুদিন আগে ফড়িঙ কে কামড়ে দিয়েছিল পিপড়ে, ওই পাজি পিঁপড়ে, টিকটিকির একটা বিহিত করতে হবে।
টিয়ামনি বললো তবে কি করবি লো সই..
তোমরা সবাই ভাবো দেখি কার মাথায় কি আসে।
টুনটুনি, গঙ্গাফড়িং, প্রজাপতি,ডগি, টিয়ামনি ও খুকি মনি যেন আজ মহা ভাবনায় বসলো।
অতঃপর সবাই একে একে সবার প্লান বললো,
কোনোটাই মন মত হচ্ছিল না।
অতঃপর টুনটুনি উচ্চস্বরে বললো আমার মাথায় প্লান আসছে।
খুকি মনি ও টিয়ামনি সমস্বরে বলে কি?
টুনটুনি গুনগুনিয়ে কি যেন বললো সবাইকে । ডগি শুনে হাত তালি দিতে লাগলো।টুনটুনি বললো শেষ কাজটা ডগি তোমাকেই করতে হবে।
ডগি শুনে নাচতে শুরু করলো। ডগির নাচ দেখে, গঙ্গাফড়িং মনের শেষে উড়তে লাগলো।কোথা থেকে এক উটকো ব্যাঙ এসে কিছু না বুঝেই ঘ্যাঙরঘ্যাঙে গান ধরলো। গান মন্দ চলছিল না। কিন্তু একটু পরেই
টুনটুনি উচ্চস্বরে বললো থামো থামো! আমাদের এখনি কাজে নামতে হবে আমাকে এক টুকরো মিঠাই দিতে হবে। তাহলে আজ থেকে মিশন শুরু।
ডগি তোমায় যা বললাম মনে আছে তো।
ডগি ডগডগিয়ে বললো হ্যা টুনটুনি মনে আছে।
টুনটুনি একটি ওয়ালে ফাদ হিসেবে একটু মিঠাই রাখলো। কিচ্ছুক্ষণ সবগুলি দুষ্টু পিঁপড়েরা মিঠাই খেতে ভিড় জমালো।
তা দেখে যে টিকটিকি বদনাম করছি সে সব কটি বিষ পিপড়ের দলকে হাপুস হুপুস করে ধরতে লাগলো। টিকটিকির দৌড় দেখে ইদুরের দল ছোটে এসে খপ করে ধরে ফেললো। মেরে ফেললো।
অমনি দুষ্টু বিড়াল কোথা থেকে উড়ে আসলো কেউ দেখেনি, কেউ খেয়াল করিনি। এক লাফে এসে ঘাড় মটকালো ইঁদুরের। সেটা সুন্দর করে খেতে লাগলো।
অমনি শিশ বাজালো টুনটুনি।
অমনি
আড়াল থেকে ডকি এক আঘাতে বিড়ালের পটল তুললো। বিড়াল -ইদুর লুকোচুরি সাঙ্গ করলো।
তা দেখে খুকি মনি ও টিয়া মনির হাসি কে থামায়!
অবশেষে খুকি মনির নীড়ে শান্তি ফিরে এলো।
তারপর সবাই ধরলো আজ টুনটুনির বিয়ে হবে।
তাহলে বরকে?
যায় যায় দিনে প্রকাশিত

কাঁঠাল

মা

-মুহম্মদ কবীর সরকার
কে গো এত ধনি?
টাকা দিয়ে কিনে নিবে
মায়ের ওই মুখখানি!
কার এমন ক্ষমতা?
শক্তি দিয়ে কেড়ে নেবে
মায়ের সব মমতা!
কে গো আছে আপন?
কোলে নিয়ে চুমু খাবে
সদা, মায়ের মতন!
মা আমার সবচেয়ে প্রিয়
মাকে ছাড়া পৃথিবী আঁধার
সে কথা জেনে নিও।

শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭

বাঘ ভাগাভাগি

বাঘ ভাগাভাগি
-মুহম্মদ কবীর সরকার
টুনা আর টুনি মায়ের কাছে গল্প শোনে। বাঘের গল্প, শিয়ালের গল্প, মানুষের গল্প আরো কত রঙ-বেরঙের গল্প। তবে তাদের কাছে বাঘের গল্প শুনতে যেমন ভয় পাই তেমন আনন্দও পাই। বিশাল বড় তার আকৃতি।
বাংলার বাঘের রঙ হালকা হলুদ থেকে কমলা রঙের হয়ে থাকে। দেখতে যেমন বড় তেমন শক্তিশালীও নাকি! তাই তাদের বাঘ দেখার ইচ্ছা জাগে। টুনা বলে, আচ্ছা মা বাঘ থাকে কোথায়?
-কেন সুন্দরবনে!
এক সময় সারা বাংলা জুড়ে বাঘ ছিল। বাংলার বাঘের খ্যাতি সারা বিশ্বজুড়ে ছিল। তার গর্জন তিন কি.মি. পর্যন্ত শোনা যেত। চলাফেরা ছিল রাজার মতো। তার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০-৬৫ কি.মি.। সাঁতারের গতিবেগ ৩২ কি.মি. প্রতি ঘণ্টায়।
টুনি উঠে বলে, এখন নেই কেন মা?
-মানুষের জন্য।
মানুষ কি বাঘ থেকে ও শক্তিশালী?
-না, বুদ্ধিমান!
না, বুদ্ধিমান বললে ভুল হবে। মানুষ অতিবুদ্ধিমান ও চালাক। একটা প্রবাদ আছে না ‘অতিচালাকের গলায় দড়ি।’
দিন দিন বাঘ শিকার ও গাছ কাটার ফলে বাঘের ও আমাদের বাসস্থল ধ্বংস করে ফেলেছে।
তাই তাদের বাসস্থল হারিয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
টুনা বলে, মা তুমি কি বাঘ দেখেছ?
-না, তবে আমার মায়ের কাছে শুনেছি।
টুনি বলে, মা আমরা বাঘ দেখব।
বাঘ তো সুন্দরবনে থাকে আর সুন্দরবন অনেক দূরে। তাছাড়া বাঘের সংখ্যাও কম। সুন্দরবন গেলে দেখা মিলতে নাও পারে।
টুনাটুনি বায়না ধরে, তারা সুন্দরবন যাবে এবং বাঘ দেখবেই।
মা বললো, আচ্ছা তোমরা আরেকটু শক্তিশালী হও। তোমাদের বাবা খাবার আনতে গেছে, আসুক।
অবশেষে বাবা বাড়ি ফিরল।
মা বলল, ওরা বাঘ দেখার জন্য সুন্দরবন যেতে চাই।
সুন্দরবন যাওয়া কি খামখেয়ালী ব্যাপার যে, বললে আর চলে গেলাম এক উড়ালে।
-আমি বলেছি তারা মানতে চায় না।
-আচ্ছা দেখি কী করা যায়।
-আমি আগে গিয়ে রাস্তা দেখে আসি। তারপর তাদের নিয়ে যাব যদি কাছে হয়।
টুনটুনি উড়তে উড়তে চলে গেল। সেও (টুনটুনি) শুনেছে সুন্দরবন ও বাঘের গল্প। কখনো দেখেনি। কিন্তু কোথাই কী! সারাদিন ওড়ার পরও সুন্দরবনের কোনো হদিস পেল না।
অবশেষে বড় একটা বাঘ দেখতে পেল রাস্তার মধ্যখানে। বড় বড় গাড়ি যাচ্ছে সে (বাঘ) একটু নড়ছে না। স্টাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইছে। টুনটুনি কতক্ষণ বসে দেখলো কিন্তু না বাঘ ক্লান্তিহীনভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটু নড়ার সময় নেই। কোথায় তার গর্জন, কোথায় তার প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কি.মি. দৌড়। কিছুই নেই।
যাকগে বাঘ তো পেলাম এবার যাই বাচ্চাদের নিয়ে আসি। মনে মনে বলল টুনটুনি।
বাসায় এসে বলে, বউ বাঘ পেয়েছি চল দেখে আসি।
তারপর সে তার বউ ও টুনাটুনিদের নিয়ে যাত্রা টাইগারপাসের দিকে। উড়তে উড়তে এসে পৌঁছালো।
বাবা টুনাটুনিদের দেখাচ্ছে ওইটা বাঘ!
-টুনি বলে, তাহলে সুন্দরবন কই? এখানে তো সব গাড়ি, বড় গাড়ি, ছোট গাড়ি পিপ পিপ।
-এখানে আগে সুন্দরবন ছিল, মা উঠে বলল। মানুষ গাছ কেটে কেটে রাস্তা বানিয়েছেন।
টুনা বলে, মা বাঘ দৌড়াচ্ছে না কেন? মানুষ গুলি বাঘকে ভয় পায় না কেন? বাঘের সাথে মানুষের বন্ধুত্ব হয়ে গেল এত বাঘ শিকার আর গাছ কাটার পরও।
বাঘের গর্জনও মনে হয় তিন কি.মি. যায় না।
টুনি বলে, এইটা তো নড়ছে না মা, মা আমি বাঘের কাছে যাব।
-না বাঘে কামড়ে দেবে।
-তাহলে মানুষদের কামড়ায় না কেন?
-ঠিক আছে যা।
টুনা বলে, আমি মাথায় বসব।
টুনি বলে, না আমি তার মাথায় বসব।
আচ্ছা ঠিক আছে যে আগে যেতে পারবে সে বসতে পারবে। পরে দুজন এক সাথেই বসল।
তারা কখনো মাথায় বসে কখনো পিঠে। আর গান ধরেছে...
বাঘ তুমি কি সত্যি গো বাঘ নাকি স্টাচু
বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছো বুঝ না কিছু।
জঙ্গলে ছিল তোমার বাস, ছিলে বনের রাজা
এখন তুমি খাও কি ঘাস, কে দিল
এমন সাজা?

জোঁকার সমাচার

জোঁকার সমাচার
-মাহ্দী কাবীর
আসসালামু আলাইকুম। রম্য নিউজে সবাইকে স্বাগতম। এক গোপন সূত্রে জানা গেছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জোকার বার্গ ইংরেজি ও মান্ডারিন চাইনিজের পর বাংলা ভাষা শিখতে উঠেপড়ে লেগেছে! তাই সে বাংলাদেশে আসছে! এর দুটু কারণ বলেছেন বিশ্বের দুই দল বিশেষজ্ঞ। ঠাট্টা বিশেষজ্ঞ রম্য নিউজকে বলেছেন, মার্ক জুকার বার্গ তার ফেসবুক প্রোফাইলের
ভেটকি মারা( সারা মুখ ছড়াইয়া যে হাসি ) পিকের সকল কমেন্ট পড়তে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সে কমেন্টের রিপ্লাই দিতে আগ্রহী। যারা কমেন্ট করেছে সে(জোকার) অনেক কষ্টে জানতে পারলো সবাই বাঙ্গালি। কিন্তু বাঙ্গালিদের কমেন্টের রিপ্লাই না দিতে পেরে সে খুব কষ্টে ভুগছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে( জোকার) বাংলা ভাষা শিখতে বাংলাদেশে আসছে। অপরদিকে মসকারা বিশেষজ্ঞ রম্য নিউজকে বলেছেন, ফেসবুকের সিংহভাগ বাসিন্দা বাঙ্গালি। এটা নিয়ে নাকি অনেক আলোচনা হয়েছে। কীভাবে বাঙ্গালিদের ফেসবুক আইডি বেশি হয়! অনেক অনুসন্ধানের পর মশকারা বিশেষজ্ঞরা খুঁজে পেলেন যে বাংলাদেশের রিকশাচালক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা পর্যন্ত প্রতিটি বাঙ্গালির ৫/১০টি করে ফেসবুক একাউন্ট খোলা আছে।তাছাড়া ফেসবুক ব্যবহারকারী শীর্ষ শহর ঢাকা। সেই সংবাদ শুনে মার্ক জুকার বার্গ বাঙ্গালিদের দেখতে অস্থির হয়ে আছেন। জোকার বার্গ মনে করেন বাঙ্গালিরা আমায় ভালোবাসেই বলে এতো একাউন্ট খুলেছেন। তিনি সকল স্তরের বাঙ্গালিদের সাথে কথা বলতেন চান কিন্তু কীভাবে সম্ভব সে তো মূর্খ! সে তো বাংলা ভাষা একদমই জানেনা ! তাই সে যে কোনো ভাবেই হোক বাংলা ভাষা শিখবেই। এবং অবশেষে জোঁকারকে বাংলা ভাষা শিখাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা মোশারফ করিম। কেননা মোশারম করিম ও বিষয়টি টের পেয়েছে, মার্ক জোঁকার বার্গের মুখ খোলে হাসি দেওয়ার কারণে ফেসবুকের সকল মশা তার মুখে ডুকছে!! তাছাড়া বড় কথা হল বাঙ্গালিরা তাকে কমেন্টে এটাই বুঝাতে চেয়েছে। কিন্তু জোকার সাব তা বুঝতেছেনা এক মাত্র বাংলা লেখার কারণে।
মোশারফ করিম রম্য নিউজকে বলেছেন এই সমস্যা খুব তাড়াতাড়িই সমাধান করতে পারবেন।

তাছাড়া ইতিপূর্বের এক নিউজে বলেছিলাম, ফেসবুক আবিষ্কারের সেই ঘটনা। আজ আবার আপনাদের জন্য,
মার্ক জুকার বার্গের মায়ের স্বপ্ন ছিল তাকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবে। কিন্তু কিসের কী! সে এস এস সি পরীক্ষাতে অংকে চরম ভাবে খারাপ করে। তাই প্লাস তার ভাগ্যে জুটেনি। তাই তার মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল। এর পর মার্ক জুকার বার্গ ওয়াদা করলো আর কাউকে প্লাস পেতে সে দিবে না। কিন্তু কী ভাবে? অবশেষে মাথায় আইডিয়া আসলো ফেসবুকের। তারপর বাকিটা ইতিহাস। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে কাটিয়ে দিচ্ছে। এখন ছাত্রদের স্লোগান ছিল "থাকবে পথে আধার নেমে, তাই বলে কি রইবো থেমে" সেটা বাদ দিয়ে সবার মুখে এখন " সুখেদুঃখে ফেসবুকে"। ঠাট্টা বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে আমাদের রম্য নিউজকে বলেন , জনাব মার্ক জোকার বার্গের আইডিয়াটি চরম ভাবে কাজ করেছে। কেননা আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তু জনাব জোঁকার সাবের ফেসবুক চালাতে গিয়ে নুয়ে থাকতে থাকতে বিশ্বের সকল শিক্ষার্থেদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে।এর সাথে সাথে ফেসবুকের নীল সাদা আলো সারাদিন দেখতে দেখতে অনেকেই অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কেউ বুক পড়ে না সবাই ফেসবুকই পড়ে।তাই যথাযথ ভাবেই প্রতিবছর পরীক্ষাই ফেল করছে বিশ্বের কোটি কোটি শিক্ষার্থী। তাছাড়া কুমিল্লা বোর্ডের অবস্থার কথা তো জানেন-ই।
ঠাট্টা বিশেষজ্ঞদের সাথে এক মত হয়েছেন মশকরা বিশেষজ্ঞ সহ বিশ্বের নামকরা এক্সপার্টেরা।

আজ এতোটুকুই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর রম্য নিউজের সাথে হাসতে থাকুন। দেখা হবে অন্য কোনো নিউজে খোদাহাফেজ।

শিক্ষার্থী : পদার্থ বিজ্ঞান, সরকারী সিটি কলেজ,চট্টগ্রাম

সাইবেরীয় চুনিকন্ঠী

সাইবেরীয় চুনিকণ্ঠী
মুহম্মদ কবীর সরকার

সাইবেরিয়ার মিষ্টি পাখি
তোমরা ভ্রমণ পিয়াসু,
আমার মতো তোমরা ও কি
বাংলা ভালোবাসো ?

দলবেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে
উড়ে এসো বঙ্গে,
মিষ্টি শীত আর কুয়াশা
নিয়ে এসো সঙ্গে!

ও ভাই অতিথি পাখি
বল তোমার নাম কী?
নাম আমার চুনিকণ্ঠী
সে কালাপাশ চুটকি।

কত সুন্দর নাম তোমার
চুনিকণ্ঠী, চুটকি
ঝাপটে এলে কত পথ
করতে পারবে মোট কি?

ছোট্ট ডানায় ভর করে
এলে আমার দেশে,
কী দিয়ে কদর করি
বল না ভাই হেসে?

তোমরা ভাই কর না শিকার
তবেই আমরা খুশি,
আবার শীতে চলে আসবো
'বাংলা' ভালোবাসি।

শিক্ষার্থী : চট্টগ্রাম।

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

নারী পাতা

নারী পাতা,,,,
প্রথম আলো- বুধবার,অধুনা
adhuna@prothom-alo.info
ইত্তেফাক বেবি আপা rabeyababy@gmail.com
========
জনকন্ঠ,অপরাজিতা ---
jk.oparajita2012@gmail.com
------
রবিবার
সমকাল, আলোর পথযাত্রী
alorpothozatri@gmail.com
মঞ্চের বাহিরে
moncherbaire@gmail.com
----
সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, মহিলা অঙ্গন
weeklysonarbangla@yahoo.com

সাহিত্য পত্রিকা

শনিবার
☞১. জনকণ্ঠ:
edailyjanakantha.com
ঝিলিমিলি:( শিশু-কিশোর পাতা)
*jilimilijanakantha@yahoo.com
☞২. আলোকিত বাংলাদেশ
alokitobangladesh.com/epaper/
আলোকিত শিশু:( শিশু-কিশোর পাতা)
*alokitoshishu2016@gmail.com
☞৩. প্রতিদিনের সংবাদ
www.protidinersangbad.com/epaper/
খেয়াল খুশি
khealkhushi@gmail.com
khealkhusibd@gmail.com
pdsangbadkealkhusi@gmail.com
☞৪. দৈনিক পূর্বদেশ(চট্টগ্রাম)
epurbodesh.com
ডানপিটে:( শিশু-কিশোর পাতা)
*utpalkanti59@gmail.com
☞৫. করতোয়া (বগুড়া)
ekaratoa.com
সবুজ আসর:( শিশু-কিশোর পাতা)
*sabujasor@gmail.com
☞৬. ভোরের কাগজ
bhorerkagoj.net/print-edition
bhorerkagoj.net/epaper
# পাঠক ফোরাম
pathokforum_bk@yahoo.com

রবিবার

sdkathpencil@gmail.com সোনার দেশ

☞৭. সংবাদ
খেলাঘর:( শিশু-কিশোর পাতা)
salamcr@yahoo.com
☞৮. ইত্তেফাক:
epaper.ittefaq.com.bd
ittefaq.com.bd/print-edition
@ঠাট্টা:(ফান ম্যাগাজিন৷ রম্য ছড়া)
ittefaq.thatta@gmail.com
☞৯. যুগান্তর
ejugantor.com
@বিচ্ছু:(ফান ম্যাগাজিন৷ রম্য ছড়া)
bicchoo@jugantor.com
☞১০. প্রথম আলো
epaper.prothom-alo.com
# বন্ধুসভা
bondhushava@prothom-alo.info

সোমবার

sonaliasor1986@gmail.com ইনকিলাব।
☞১১. দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম)
esuprobhat.com
এলাটিং বেলাটিং:( শিশু-কিশোর পাতা)
*elating_belating@yahoo.com
☞১২. সমকাল:
esamakal.net
bangla.samakal.net
@প্যাঁচআল:(ফান ম্যাগাজিন৷ রম্য ছড়া)
pachaal123@gmail.com
☞১৩. প্রথম আলো:
epaper.prothom-alo.com
@রস+আলো:(ফান ম্যাগাজিন৷ রম্য ছড়া)
ra@prothom-alo.info

মঙ্গলবার

☞১৪. সমকাল:
esamakal.net
bangla.samakal.net
(ক) ঘাসফড়িং:( শিশু-কিশোর পাতা)
*ghashforing007@gmail.com
#(খ) সুহৃদ সমাবেশ
suhridsamabesh1@gmail.com
☞১৫. কালেরকণ্ঠ:
ekalerkantho.com
@ঘোড়ার ডিম:(ফান ম্যাগাজিন৷ রম্য ছড়া)
ghorardim@kalerkantho.com
☞১৬. যায়যায়দিন
ejjdin.com/index.php
# জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম
friendsforum@jjdbd.om
পূর্বো কোণ
azadi@dainikazadi.net(বুধবার)

বুধবার
☞১৭. ভোরের কাগজ:
bhorerkagoj.net/print-edition
bhorerkagoj.net/epaper
ইষ্টিকুটুম:( শিশু-কিশোর পাতা)
*istikutum_bkagoj@yahoo.com
☞১৮. যায়যায়দিন:
ejjdin.com/index.php
হাট্টিমাটিমটিম:( শিশু-কিশোর পাতা) *hattimatimtim@jjdbd.com.
☞১৯. মানবকণ্ঠ:
emanobkantha.com
# সেতুবন্ধন (পৃ-৮)
mksetubondhon@gmail.com
☞২০. যুগান্তর
ejugantor.com
# স্বজন সমাবেশ
shojonshomabesh@gmail.com

বৃহস্পতি

☞২১. আমাদের সময়:
epaper.dainikamadershomoy.com
ঘটাংঘট:( শিশু-কিশোর পাতা)
*ghatangghat@gmail.com
বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ
manchaeditor@gmail.com
সাহিত্য পাতা,সবুজ আসর, খোলা আকাশ

শুক্রবার

মাথাভাঙ্গা: কিচিরমিচির
kicirmicir91@gmail.com
☞২২.ইত্তেফাক:
epaper.ittefaq.com.bd
ittefaq.com.bd/print-edition
কচিকাঁচার আসর:( শিশু-কিশোর পাতা)
kochikacharaashor@gmail.com
☞২৩. প্রথম আলো:
epaper.prothom-alo.com
গোল্লাছুট:( শিশু-কিশোর পাতা)
*gollachut@prothom-alo.info
☞২৪. কালেরকণ্ঠ:
ekalerkantho.com
টুনটুনটিনটিন:( শিশু-কিশোর পাতা)
*tuntuntintin@kalerkantho.com
doshdik@kalerkantho.com বড়দের

☞২৫. বাংলাদেশ প্রতিদিন
bd-pratidin.com
ebdpratidin.com
ডাংগুলি:( শিশু-কিশোর পাতা)
*danguli71@gmail.com
☞২৬. দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম)
esuprobhat.com
এলাটিং বেলাটিং:( শিশু-কিশোর পাতা)
*elating_belating@yahoo.com
প্রতিদিন
☞২৭. বাংলাদেশ সময়:
bangladeshshomoy.com
"দিনের ছড়া"(সমকালীন ছড়া)
(শুক্রবার একাধিক ছড়া ছাপানো হয়)
★somoyedit@gmail.com
☞২৮. আমাদের সময়:
epaper.dainikamadershomoy.com
"সময়ের ছড়া"(সমকালীন ছড়া)
(কোনো-কোনো দিন ছড়া ছাপা হয় না)
★columnchaara@gmail.com
☞২৯. ইত্তেফাক:
epaper.ittefaq.com.bd
ittefaq.com.bd/print-edition
"এই সময়ের ছড়া"(সমকালীন ছড়া)
★letters.ittefaq@gmail.com
☞৩০. সমকাল:
esamakal.net
bangla.samakal.net
"সমকালীন ছড়া"(সমকালীন ছড়া)
★sarabela01@gmail.com
কিশোর কণ্ঠ-
kishorkantha@yahoo.com
কিশোর আলো
editor@kishoralo.com
১৫. মানবকন্ঠ- এলেবেলে- ১. ranjuraim@yahoo
.com ২. mixedfeature@gmail.com

সাহিত্য সাময়িকী

সাহিত্য মানবকণ্ঠ
shahitto@manobkantha@gmail.com
আমাদের সময় || লেখালেখি
lekhalekhi@gmail.com
ভোরের পাতা- চারুপাতা
vp.charupata@gmail.com
ইত্তেফাক সাময়িকী
ittefaq.samayiki@gmail.com
প্রথম আলো
shilpasahitya@prothom-alo.info

bondhushava@prothom-alo.info
দৈনিক সংবাদ/সাহিত্য
sangbadsamoeky@gmail.com
যায়যায়দিন
‘সাহিত্য’ পাতায় প্রকাশের জন্য

ss_opinion@yahoo.com
ভোরের কাগজ
‘সাময়িকী’-তে প্রকাশের জন্য

bkagojliterary@gmail.com
পূর্বদেশ সাহিত্য
qamaru65@gmail.com
deshkal.sahito@gmail.com
sdpandulipi@gmail.com সোনার দেশ
দিগন্ত সাহিত্য - digantasahitto@
gmail.com

রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭

তোকে দিলাম গানের কথা

তোকে গানের কথা দিলাম
সুরটা শুধুই দিস
গানের কথা ভেবেই শুধু
সুর বানিয়ে নিস।

এ যে আমার মনের কথা
তোকেই ভেবে লেখা
তোকেই ভেবে স্বপ্নগুলি
বাচতে পারা শেখা।
তুই তো সখী গানের পাখী
তুই গানের উপমা
তোকেই ভেবে গানের কথা
হৃদয়ে হয় জমা।
গানে গানে মনের কথা
পাড়লে  বুঝে নিস।

তোকে আমার ভাবনা দিলাম
ভেবে বারো মাসই
একমুঠো ফুল খুপায় দিলাম
নিলাম টুকরো হাসি।

তুই তো গানের সকল স্পন্দ(ন)
বেচে থাকার ওই আনন্দ
আমার প্রাণের সকল ছন্দ,
পাড়লে বুঝে নিস।
গীতিকার মুহম্মদ কবীর সরকার

মাত্রা বিভাজন : স্বরবৃত্ত
পূর্ণ পর্বঃ- ৪ মাত্রা
অপূর্ণ পর্বঃ-১/২ মাত্রা

বাংলা ছন্দের প্রকারভেদ

বাংলা ছন্দের প্রকারভেদ
বাংলা কবিতার ছন্দ মূলত ৩টি- স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত । তবে বিংশ শতক থেকে কবিরা গদ্যছন্দেও কবিতা লিখতে শুরু করেছেন। এই ছন্দে সেই সুশৃঙ্খল বিন্যাস না থাকলেও ধ্বনিমাধুর্যটুকু অটুট রয়ে গেছে, যে মাধুর্যের কারণে ধ্বনিবিন্যাস ছন্দে রূপায়িত হয়।
নিচে সংক্ষেপে ছন্দ ৩টির বর্ণনা দেয়া হল।
স্বরবৃত্ত ছন্দ : ছড়ায় বহুল ব্যবহৃত হয় বলে, এই ছন্দকে ছড়ার ছন্দও বলা হয়।
• মূল পর্ব সবসময় ৪ মাত্রার হয়
• প্রতি পর্বের প্রথম অক্ষরে শ্বাসাঘাত পড়ে
• সব অক্ষর ১ মাত্রা গুনতে হয়
• দ্রুত লয় থাকে, মানে কবিতা আবৃত্তি করার সময় দ্রুত পড়তে হয়
উদাহরণ-
বাঁশ বাগানের ∣ মাথার উপর ∣ চাঁদ উঠেছে ∣ ওই ∣∣ (৪+৪+৪+১)
মাগো আমার ∣ শোলোক বলা ∣ কাজলা দিদি ∣ কই ∣∣ (৪+৪+৪+১)
(যতীন্দ্রমোহন বাগচী)
এখানে bold হিসেবে লিখিত অক্ষরগুলো উচ্চারণের সময় শ্বাসাঘাত পড়ে, বা ঝোঁক দিয়ে পড়তে হয়। আর দাগাঙ্কিত অক্ষরগুলোতে মিল বা অনুপ্রাস পরিলক্ষিত হয়।
এরকম-
রায় বেশে নাচ ∣ নাচের ঝোঁকে ∣ মাথায় মারলে ∣ গাঁট্টা ∣∣ (৪+৪+৪+২)
শ্বশুর কাঁদে ∣ মেয়ের শোকে ∣ বর হেসে কয় ∣ ঠাট্টা ∣∣ (৪+৪+৪+২)
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ :
• মূল পর্ব ৪,৫,৬ বা ৭ মাত্রার হয়
• অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ মাত্রা গুনতে হয়; আর অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে (য় থাকলেও) ২ মাত্রা গুনতে হয়; য় থাকলে, যেমন- হয়, কয়; য়-কে বলা যায় semi-vowel, পুরো স্বরধ্বনি নয়, তাই এটি অক্ষরের শেষে থাকলে মাত্রা ২ হয়
• কবিতা আবৃত্তির গতি স্বরবৃত্ত ছন্দের চেয়ে ধীর, কিন্তু অক্ষরবৃত্তের চেয়ে দ্রুত
উদাহরণ-
এইখানে তোর ∣ দাদির কবর ∣ ডালিম-গাছের ∣ তলে ∣∣ (৬+৬+৬+২)
তিরিশ বছর ∣ ভিজায়ে রেখেছি ∣ দুই নয়নের ∣ জলে ∣∣ (৬+৬+৬+২)
(কবর; জসীমউদদীন)
কবিতাটির মূল পর্ব ৬ মাত্রার। প্রতি চরণে তিনটি ৬ মাত্রার পূর্ণ পর্ব এবং একটি ২ মাত্রার অপূর্ণ পর্ব আছে।
এখন মাত্রা গণনা করলে দেখা যাচ্ছে, প্রথম চরণের-
প্রথম পর্ব- এইখানে তোর; এ+ই+খা+নে = ৪ মাত্রা (প্রতিটি অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকায় প্রতিটি ১ মাত্রা); তোর = ২ মাত্রা (অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকায় ২ মাত্রা)
দ্বিতীয় পর্ব- দাদির কবর; দা+দির = ১+২ = ৩ মাত্রা; ক+বর = ১+২ = ৩ মাত্রা
তৃতীয় পর্ব- ডালিম-গাছের; ডা+লিম = ১+২ = ৩ মাত্রা; গা+ছের = ১+২ = ৩ মাত্রা
চতুর্থ পর্ব- তলে; ত+লে = ১+১ = ২ মাত্রা
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ :
• মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়
• অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ মাত্রা গুনতে হয়
• অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি আছে, এমন অক্ষর শব্দের শেষে থাকলে ২ মাত্রা হয়; শব্দের শুরুতে বা মাঝে থাকলে ১ মাত্রা হয়
• কোন শব্দ এক অক্ষরের হলে, এবং সেই অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে, সেই অক্ষরটির মাত্রা ২ হয়
• কোন সমাসবদ্ধ পদের শুরুতে যদি এমন অক্ষর থাকে, যার শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি আছে, তবে সেই অক্ষরের মাত্রা ১ বা ২ হতে পারে
• কবিতা আবৃত্তির গতি ধীর হয়
উদাহরণ-
হে কবি, নীরব কেন ∣ ফাগুন যে এসেছে ধরায় ∣∣ (৮+১০)
বসন্তে বরিয়া তুমি ∣ লবে না কি তব বন্দনায় ∣∣ (৮+১০)
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি- ∣∣ (১০)
দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি? ∣∣ (১০)
(তাহারেই পড়ে মনে; সুফিয়া কামাল)
কবিতাটির মূল পর্ব ৮ ও ১০ মাত্রার। স্তবক দুইটি পর্বের হলেও এক পর্বেরও স্তবক আছে।
এখন, মাত্রা গণনা করলে দেখা যায়, প্রথম চরণের,
প্রথম পর্ব- হে কবি, নীরব কেন; হে কবি- হে+ক+বি = ৩ মাত্রা (তিনটি অক্ষরের প্রতিটির শেষে স্বরধ্বনি থাকায় প্রতিটি ১ মাত্রা); নীরব- নী+রব = ১+২ = ৩ মাত্রা (শব্দের শেষের অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকায় সেটি ২ মাত্রা); কেন- কে+ন = ১+১ = ২ মাত্রা; মোট ৮ মাত্রা
আবার দ্বিতীয় চরণের,
দ্বিতীয় পর্ব- লবে না কি তব বন্দনায়; লবে- ল+বে = ২ মাত্রা; না কি তব = না+কি+ত+ব = ৪ মাত্রা; বন্দনায়- বন+দ+নায় = ১+১+২ = ৪ মাত্রা (বন- অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলেও অক্ষরটি শব্দের শেষে না থাকায় এর মাত্রা ১ হবে; আবার নায়- অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি- য় থাকায়, এবং অক্ষরটি শব্দের শেষে থাকায় এর মাত্রা হবে ২); মোট ১০ মাত্রা
এরকম-
আসি তবে ∣ ধন্যবাদ ∣∣ (৪+৪)
না না সে কি, ∣ প্রচুর খেয়েছি ∣∣ (৪+৬)
আপ্যায়ন সমাদর ∣ যতটা পেয়েছি ∣∣ (৮+৬)
ধারণাই ছিলো না আমার- ∣∣ (১০)
ধন্যবাদ। ∣∣ (৪)
(ধন্যবাদ; আহসান হাবীব)
অক্ষরবৃত্ত ছন্দের রূপভেদ বা প্রকারভেদ : অক্ষরবৃত্ত ছন্দের আবার অনেকগুলো রূপভেদ বা প্রকার আছে- পয়ার, মহাপয়ার, ত্রিপদী, চৌপদী, দিগক্ষরা, একাবলী, সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দ। নিচে এগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হল-
সনেট :
• বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনা করেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
• বাংলায় উল্লেখযোগ্য সনেট রচয়িতা- মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ, প্রমথ চৌধুরী, মোহিতলাল মজুমদার, অক্ষয়কুমার বড়াল, ফররুখ আহমদ,কামিনী রায়, প্রমুখ
• ১৪ বা ১৮ মাত্রার চরণ হয়
• দুই স্তবকে ১৪টি চরণ থাকে
• সাধারণত দুই স্তবকে যথাক্রমে ৮টি ও ৬টি চরণ থাকে (চরণ বিন্যাসে ব্যতিক্রম থাকতে পারে)
• প্রথম আটটি চরণের স্তবককে অষ্টক ও শেষ ৬টি চরণের স্তবককে ষটক বলে
• এছাড়া সনেটের অন্ত্যমিল ও ভাবের মিল আছে এমন চারটি চরণকে একত্রে চৌপদী, তিনটি পদকে ত্রিপদীকা বলে
• নির্দিষ্ট নিয়মে অন্ত্যমিল থাকে
• দুইটি স্তবকে যথাক্রমে ভাবের বিকাশ ও পরিণতি থাকতে হয়; ব্যাপারটাকে সহজে ব্যাখ্যা করতে গেলে তা অনেকটা এভাবে বলা যায়- প্রথম স্তবকে কোন সমস্যা বা ভাবের কথা বলা হয়, আর দ্বিতীয় স্তবকে সেই সমস্যার সমাধান বা পরিণতি বর্ণনা করা হয়
• সনেটের ভাষা মার্জিত এবং ভাব গভীর ও গম্ভীর হতে হয়
• সনেট মূলত ৩ প্রকার- পেত্রার্কীয় সনেট, শেক্সপীয়রীয় সনেট ও ফরাসি সনেট; এই ৩ রীতির সনেটের প্রধান পার্থক্য অন্ত্যমিলে। এছাড়া ভাব, বিষয় ও স্তবকের বিভাজনেও কিছু পার্থক্য আছে (তা ব্যাকরণের ছন্দ প্রকরণের আলোচ্য নয়)। নিচে ৩ প্রকার সনেটের অন্ত্যমিলের পার্থক্য দেখান হল-
পেত্রার্কীয় রীতি ক+খ+খ+ক ক+খ+খ+ক চ+ছ+জ চ+ছ+জ
শেক্সপীয়রীয় রীতি ক+খ+ক+খ গ+ঘ+গ+ঘ চ+ছ+চ+ছ জ+জ
ফরাসি রীতি ক+খ+খ+ক ক+খ+খ+ক গ+গ চ+ছ+চ+ছ
উদাহরণ-
হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব ∣ বিবিধ রতন;- ∣∣ (৮+৬) ক
তা সবে, (অবোধ আমি!) ∣ অবহেলা করি, ∣∣ (৮+৬) খ
পর-ধন-লোভে মত্ত, ∣ করিনু ভ্রমণ ∣∣ (৮+৬) ক
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি ∣ কুক্ষণে আচরি। ∣∣ (৮+৬) খ অষ্টক
কাটাইনু বহু দিন ∣ সুখ পরিহরি। ∣∣ (৮+৬) খ
অনিদ্রায়, অনাহারে ∣ সঁপি কায়, মনঃ, ∣∣ (৮+৬) ক
মজিনু বিফল তপে ∣ অবরেণ্যে বরি;- ∣∣ (৮+৬) খ
কেলিনু শৈবালে, ভুলি ∣ কমল-কানন। ∣∣ (৮+৬) ক
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী ∣ কয়ে দিলা পরে,- ∣∣ (৮+৬) গ
ওরে বাছা, মাতৃকোষে ∣ রতনের রাজি ∣∣, (৮+৬) ঘ
এ ভিখারী-দশা তবে ∣ কেন তোর আজি? ∣∣ (৮+৬) ঘ ষটক
যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, ∣ যা রে ফিরি ঘরে। ∣∣ (৮+৬) গ
পালিলাম আজ্ঞা সুখে; ∣ পাইলাম কালে ∣∣ (৮+৬) ঙ
মাতৃভাষা-রূপ খনি, ∣ পূর্ণ মণিজালে । ∣∣। (৮+৬) ঙ
(বঙ্গভাষা; মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
কবিতাটিতে দুই স্তবকে যথাক্রমে ৮ ও ৬ চরণ নিয়ে মোট ১৪টি চরণ আছে। প্রতিটি চরণে ৮ ও ৬ মাত্রার দুই পর্ব মিলে মোট ১৪ মাত্রা আছে।
অমিত্রাক্ষর ছন্দ :
• বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
• অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য ভাবের প্রবহমানতা; অর্থাৎ, এই ছন্দে ভাব চরণ-অনুসারী নয়, কবিকে একটি চরণে একটি নির্দিষ্ট ভাব প্রকাশ করতেই হবে- তা নয়, বরং ভাব এক চরণ থেকে আরেক চরণে প্রবহমান এবং চরণের মাঝেও বাক্য শেষ হতে পারে
• বিরামচিহ্নের স্বাধীনতা বা যেখানে যেই বিরামচিহ্ন প্রয়োজন, তা ব্যবহার করা এই ছন্দের একটি বৈশিষ্ট্য
• অমিত্রাক্ষর ছন্দে অন্ত্যমিল থাকে না, বা চরণের শেষে কোন মিত্রাক্ষর বা মিল থাকে না
• মিল না থাকলেও এই ছন্দে প্রতি চরণে মাত্রা সংখ্যা নির্দিষ্ট (সাধারণত ১৪) এবং পর্বেও মাত্রা সংখ্যা নির্দিষ্ট (সাধারণত ৮++৬)
উদাহরণ-
তথা
জাগে রথ, রথী, গজ, ∣ অশ্ব, পদাতিক ∣∣ (৮+৬)
অগণ্য। দেখিলা রাজা ∣ নগর বাহিরে, ∣∣ (৮+৬)
রিপুবৃন্দ, বালিবৃন্দ ∣ সিন্ধুতীরে যথা, ∣∣ (৮+৬)
নক্ষত্র-মণ্ডল কিংবা ∣ আকাশ-মণ্ডলে। ∣∣ (৮+৬)
(মেঘনাদবধকাব্য; মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
এখানে কোন চরণের শেষেই অন্ত্যমিল নেই। আবার প্রথম বাক্যটি চরণের শেষে সমাপ্ত না হয়ে প্রবাহিত হয়ে একটি চরণের শুরুতেই সমাপ্ত হয়েছে (তথা জাগে রথ, রথী, গজ, অশ্ব, পদাতিক অগণ্য)। এই অন্ত্যমিল না থাকা এবং ভাবের বা বাক্যের প্রবহমানতাই অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রধান দুইটি বৈশিষ্ট্য।
গদ্যছন্দ :
• এই ছন্দে বাংলায় প্রথম যারা কবিতা লিখেছিলেন তাদের অন্যতম- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
• মূলত ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তী শিল্পমুক্তির আন্দোলনের ফসল হিসেবে এর জন্ম
• গদ্য ছন্দ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন- গদ্যের মধ্যে যখন পদ্যের রঙ ধরানো হয় তখন গদ্যকবিতার জন্ম হয়
• পর্বগুলো নানা মাত্রার হয়, সাধারণত পর্ব-দৈর্ঘ্যে কোন ধরনের সমতা বা মিল থাকে না
• পদ ও চরণ যতি দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং বিরাম চিহ্ন বা ছেদ চিহ্ন দ্বারা নির্ধারিত হয়; এই বিরাম চিহ্ন বা ছেদ চিহ্ন উচ্চারণের সুবিধার্থে নয়, বরং অর্থ প্রকাশের সুবিধার্থে ব্যবহৃত হয়
• গদ্যকবিতা গদ্যে লেখা হলেও তা পড়ার সময় এক ধরনের ছন্দ বা সুরের আভাস পাওয়া যায়
• গদ্যকবিতা গদ্যে লেখা হলেও এর পদবিন্যাস কিছুটা নিয়ন্ত্রিত ও পুনর্বিন্যাসিত হতে হয়
উদাহরণ-
আমার পূর্ব-বাংলা এক গুচ্ছ স্নিগ্ধ
অন্ধকারের তমাল
অনেক পাতার ঘনিষ্ঠতায়
একটি প্রগাঢ় নিকুঞ্জ
সন্ধ্যার উন্মেষের মতো
সরোবরের অতলের মতো
কালোকেশ মেঘের সঞ্চয়ের মতো
বিমুগ্ধ বেদনার শান্তি

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রূপ কথার ছড়া নয়

এক দেশে এক রাণী ছিল ভীষণ রাক্ষসী,
রক্তের সঙ্গে ছিল যে তার শুধুই রাগ-খুশি।
রক্ত পেলেই হয়তো খুশি নয়তো যেত রেগে
শিশু-বুড়োর রক্ত খেত দিন রাত্রি সে জেগে।
শিশু-নারীর জীবন নিয়ে করতো রাজনীতি
মনুষ্যত্ব ভুললো সে যে ভুললো লাজ-নিতি।
তার ভয়ে যে কত মানুষ ছাড়লো বাসভূমি
সাঙ্গুর জলে ঘর যে পাতলো শিশুর লাশ চুমি।
ওই পাড়েতে বিদেশ নামক কঠিন বেড়িবাঁধ
এই পাড়েতে কাকতন্দ্রায় রাক্ষুসেরই ফাদ
মানুষের হয় নিষ্ঠুর মৃত্যু জন্মটাই বুঝি পাপ
কূটনীতিকদের সমঝোতার বাণী হাস্যকর প্রলাপ
সু চির শান্তির নোবেল যেন গুনে ধরা কাঠ
শান্তির নামে অশান্তি আর তুমুল লুটপাট।
রূপকথা যে নয় এটা ভাই, চরম চুপ কথা
উপর সভার টাকওলাদের চরম ব্যর্থতা।
____________________
রূপ কথার ছড়া নয়
-মুহম্মদ কবীর সরকার
রচনাকাল:(06/09/2017)

চুল রম্য

প্রবাদ পরিবর্তন করা হোক কারণ বিশ্ব জুড়ে যে হারে মানুষ অপ্রয়োজনীয় চিন্তায় মাথা ঘামিয়ে টাক ফালাচ্ছে অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষেরই মাথা চুল অল্প দিনে হারাচ্ছে । তাহলে প্রবাদবাক্য 'দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝা' পরিবর্তন হয়ে 'চুল থাকতে চুলের মর্ম বুঝা' এটাই বেস্ট হবে আপনি চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করে দেখতে পারেন।

বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

মহাপুরুষ

মুহম্মদ কবীর সরকার
তুমি সেদিন আমার ঠোট ছুঁয়ে বলেছিলে
'তুমি এখনো পুরুষ হয়ে উঠুনি'
মহাপুরুষের মতো ওষ্ঠ হতে হবে কৃষ্ণ
নিগড় কৃষ্ণ'।
জানো, এখন আমার ঠোট তামাটে বর্ণের।
মহাপুরুষের মত এখন আমি নিকোটিনগ্রাহী।
যে ছেলেটি সিগারেট কি চিনতো না আজ সে মহাপুরুষ।
প্রতিটি চুমুকে গিলে খায় প্রেমিকার প্রেমের সাধ।

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

তুমি কেমন আছো?

কেমন আছো?______/মুহম্মদ কবীর সরকার
কেমন আছো? ইদানীং খুব বেশিই জানতে ইচ্ছে করে
মনে  পড়ে? সেই দিন গুলি, কাটাতাম খুব কিচ্ছে করে
কখনো কি দেখেছো?
কালের কালো অতীতেরা সব সম্পর্ক  নিচ্ছে কেড়ে
কেমন আছো? বড্ড বেশিই যে আজ জানতে ইচ্ছে করে
কখনো কি বুঝেছো?
সময়ের কঠিন টানাপোড়নের টানে হৃদয়ের বাঁধুনি যাচ্ছে ছিঁড়ে
যাচ্ছে ছিঁড়ে সময়ের গড়া গল্প গুলি
এসো, আজ একটু বসা যাক
একটু বসে চায়ের চুমুকে কুশলাদি অল্প বলি
কেমন আছো?
নীরব কেন? ভালো আছি বললেই তো পারো মিছে করে
আমি বলতে চাইনি থাকো, থাকো তুমি
পিছুটানের পিছে পড়ে।
আমি বলতে চাইনি রেখ, রেখ মনে সেই অতীত জীবন ভরে।
তবে, তবে মনে রেখো, তুমি সতত বিচরণ করো আমার প্রাণের পরে
সে তো অতীত নয়, সেতো বর্তমান
নিয়মিত শ্রাবণ হয়ে ঝরে পরে
তুমি কেমন আছো?

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

যাকে আজও খুজে বেড়াই

যাকে আজও খুজে বেড়াই
__________________
আমি এক কবিকে খুজতেছি বহুদিন ধরে। আমি যখন ফেসবুক প্রথম চালানো শিখি, তখন তার সাথে পরিচয়।তিনি দারুণ লিখতেন। তার প্রতিটি লেখায় আমার ভালো লাগতো। তার সাথে চ্যাট করে আমার টুকটাক ভাব হয়েছিল।তার জীবনের গল্প যখন আমায় লিখতো অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। সেই থেকে তার আমি ফ্রেন্ড। অথচ এই রকম মানুষের সাথে বন্ধু হওয়া যায়না কারণ তিনি ছিলেন বড় মাপের কবি আর আমি কিছুই না! হঠাৎ করে আর সে আসিনি। ফেসবুক শব্দটা হয়তো সে ভুলেই গেছে কিন্তু আমি তাকে আজও ভুলিনি। আমি তাকে সত্যিই অনেক ভাল ভালোবাসি।তাকে নিয়ে আমি অনেক কবিতা, গল্প লিখেছি ।
সে আমার প্রিয় কবি সুদীপ তন্তুবায় নীল
সুদীপ দাদা কখনো যদি ফেবুকে আসো হয়তো আমার মেসেজ পড়ে বিরক্ত হয়ে যাবে। যেখানে আছো ভালো থেকো দাদা। এসো কোনো এক শেষ বিকেলে, শেষ বিকেলের কবি হয়ে।

আমি ভালোবাসি জীবনানন্দ

আমি ভালোবাসি জীবনানন্দ
-মুহম্মদ কবীর সরকার
আমি ভালোবাসি রূপসী বাংলার খুলা কেশের গন্ধ
আমি ভালোবাসি তোমায় হে কবি জীবনানন্দ।
আমি ভালোবাসি সবুজ বাংলার কোমল ঘাস
আমি ভালোবাসি চির চঞ্চলমতি প্রবাহিণী তিতাস।
আমি ভালোবাসি তোমায় নাটোরের বনলতা
আমি ভালোবাসি আমার বাংলার কবিতার কথা।
দেখতে ভালোবাসি তিতাসের বুনোহাঁস বেলা অবেলা
আকাশ পানে তাকিয়ে দেখি শঙ্খচিলের খেলা।
লক্ষ্মীপেঁচা যবে ঝরা পালক ঝেরে কন্ঠে মেলায় তান
আমি ভালোবাসি শুনতে রূপসী বাংলার গান।
বঙ্গের বক্ষ পানে পাখির কলতানে
খুঁজে পাই আমি বঙ্গের নীল গগনে
খুঁজে পাই এক যৌবনা ধানের গন্ধ,
তাই তো তোমায় ভালোবাসি হে কবি জীবনানন্দ।

শেষ চিঠি

শেষ চিঠি
মুহম্মদ কবীর সরকার
_______________
কিছু কলমের কালি। একটা তুচ্ছ কাগজ। একের পর এক মনের মাধুর্য মিশিয়ে সাজানো কিছু হিজিবিজি শব্দ।আজ ও আমায় ভাবায়। শব্দের কি নিষ্ঠুর নীরবতা, কি আকুলতা! যেন একটি মানুষের ভালোবাসা, দুঃখ, বেদনা চুপটি করে বসে আছে চিঠি নামক ক্ষুদ্র কাগজে। নিভৃতচারী হয়ে ভ্রমণ করছে আমার হৃদয়ে।
আমি তখন কিশোরী। আমার এই ছোট্ট মনে দোলা দেয় এমনি একটি তুচ্ছ কাগজ। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলাম। বাবা ছিলেন সরকারি অফিসার। সেই সুবাদে আমরা চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বদলী হয়ে ছিলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মফস্বল শহরে সেই রকম জানা শুনা আমার কেউ ছিল না। অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কারো সাথে সেই রকম ভাব জমছিল না। অচেনা শহর, অচেনা স্কুল, অচেনা পৃথিবী। তখন প্রায় একা হয়েই পড়েছিলাম। তবে পত্র-পত্রিকায় লেখালিখি করে ও বই পড়ে টুকটাক সময় যাচ্ছিলো। হ্যা তখন ও ফেবু, ইমু সবই ছিল। আমার ওই সবে সেই রকম আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। সারাক্ষণ বই পড়ে সময় কাটাতেই ভালো লাগতো।
একদিন একটা মাসিক ম্যাগাজিনের পত্র মিতালী পাতায় একটুকরো অনুচ্ছেদ বন্ধুর খুঁজে লিখেছিলাম। সেই রকম ভাবে সাড়া পাইনি কারণ তখন সবাই চিঠিপত্তের সেকেলে নিয়ম বর্জন করে মেসেঞ্জার, ইমু,হোয়াটস্প নিয়েই ব্যস্ত ছিল। তবে কিছু সাহিত্য প্রেমি ছিল যারা এখনো চিঠি ভালোবাসে। সেই রকম কিছু বন্ধু আমায় অবাক করে চিঠি লিখেছিল। তার মধ্যে চিঠি লিখেছিলেন সেকেলের পত্রপত্রিকার চির পরিচিত মুখ সুদীপ্ত মেহেরাজ।
তখন আমার একাকীত্বে যেন মধুর স্বাদ পেয়েছিলাম। সুদীপ্ত মেহেরাজ চিঠিতে লিখেছেন।
প্রিয় মিমুণি,
তোর লেখা আমি সব সময় খুব মন দিয়ে পড়ি। তোর শিশুতোষ গল্প, কবিতা বরাবরি আমায় শিশু ভাবটা জাগিয়ে তোলে আমায় করে তোলে শিশু। তোর শিশু মনস্ক লিখা আমায় ভাবায়,হাসায়, কাদায়। আমার ভাবনায় চলে আসে যেন শিশু মীমটি আমার পাশে এসে ঘুরাঘুরি করছে।আমি নিয়মিত তোকে তোর লেখায় আবিষ্কার করতাম,তুই বলতি দাদা আমায় একটা কবিতা শুনাও না,বলতি চলো না দাদা ঘুড়ি উড়াই, ফড়িং ধরি।তখন আমি ঘুড়ি নিয়ে যেন মাঠে চলে যেতাম,আকাশে উড়িয়ে দেয় ঘুড়ি আর তুই হাত তালি দিতিস। আরো কত রকম বায়না। দিদি তুই কেমন আছিস? আমি অনেক দিন ধরে ভেবেছিলাম পত্রিকায় তোর ঠিকানাটা চাইবো কিন্তু চাও হয় নি। কাল যখন পত্র মিতালীতে তোর ঠিকানা পেলাম আর নিজে ধরে রাখতে পারলাম না। তাই তোকে ভেবে লিখতে বসলাম।
বন্ধু কি জানিস?
মনের কথা অকপটে বলা।
বন্ধু কি জানিস?
সুখে দুঃখে একই সাথে চলা।
বন্ধু কি জানিস?
ঝগড়া অভিমান আর রাগারাগি।
বন্ধু কি জানিস?
হৃদয়ের সবটুকু প্রেম ভাগাভাগি।
তুই কি সত্যিই বন্ধু হবি আমার।
ইতি
তোর চিঠির অপেক্ষারত
সুদীপ দা।
সেদিন চিঠি হাতে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিলাম। কতবার যে চিঠিটা পড়েছিলাম তা ঠিক ঠাহর করতে পারছি না। তারপর চিঠি লিখতে বসে ছিলাম। কি লিখবো কিছুই মাথায় আসছি না। লিখলাম..
প্রিয় সুদীপ দা
তুমি চিঠি দিবে আমি কখনো ভাবিনি। আমি তোমার নিয়মিত পাঠিকা।তোমার রোমান্টিক গল্প ও কবিতা গুলি আমার অনেক ভালো লাগে। তোমার বিরহের গল্প গুলি আমায় কাদায়। তোমার লেখায় এতো বিরহ কেন দাদা? আমাকে এতো কাদায় কেন? সে দিন তোমার 'শেষ কথা 'গল্পটি পড়ে প্রচুর কেঁদেছিলাম।গল্পের শেষ কথাটা কি হতে পারে জানো আজো ভেবে পাইনা। যেন গল্পটা আমার সাথে ঘটে গেছে। আমি গল্পে একটা বাস্তবিক গন্ধ পেয়েছিলাম। আমি জানতাম গল্পেরা মিথ্যা হয়, কিন্তু তোমার গল্প আমার কাছে সত্য মনে হল কেন দাদা? তুমি কেমন আছো দাদা? আমি তোমার এই ভাবে সব সময় বন্ধু হয়ে থাকতে চাই। শুনতে চাই তোমার সুখ দুঃখের গল্প।
ইতি
তোমার ছোট্টদি মীম।

এই ভাবে আমাদের বন্ধুত্বের তথা ভাইবোনের গল্পটা শুরু হয়েছিল। অতঃপর অধীর আগ্রহে সুদীপদার পরবর্তী চিঠির অপেক্ষা করতে লাগলাম।
চলমান....

মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭

ভোরের কুয়াশা

ভোরের কুয়াশা
-মুহম্মদ কবীর সরকার
একদিন আমি হেটেছিলাম এই বাংলায়
নগ্ন পায়ে ভোরের ভেজা কুয়াশায়।
আর শুনেছিলাম পাখিদের কলহ, কলরব
যেন তারা, তাড়া করে চলেছে এই মহাকালকে।
যখন এক ঝাপটা হাওয়া পরেছিল আমার প্রাণের পরে,
চুল এলোমেলো করে ঝাপসা চোখে তাকিয়ে ছিলাম।
সাধ নিয়ে ছিলাম তার দেহের, তার নরম শরীরের গন্ধের।
সে কি গন্ধ, নাকি নতুন করে বাঁচার সাধ পাওয়া।
হঠাৎ চঞ্চল, উচ্ছল ষোড়শীর ওঙ্কারে,
লাল টিপ ও সবুজ শাড়ির আলোয়
ছেদ পড়ে সম্মোহনের।
তার সবুজ কোমল দেহ যেন কথা কয় প্রতিটি ইতিহাসের!
কথা কয় গত হওয়া শত মহাকালের।
মহাকাল পেরিয়ে তার জন্ম এই এশিয়ার পলিমাটিরর দেশে
শত বছর পরেও যেন আজ সে সেই কিশোরীর বেশে।
কিশোরীর বেশে সেই জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন।

খিচুড়ির লিমেরিক

খিচুড়ির লিমেরিক
মুহম্মদ কবীর সরকার
অনাহারী ঘরে ঘরে
পুটলি খালি কি মুড়ির!
বৃষ্টির জলে দেশ যে তলে
বলতো আছে কি চুরির?
ভিটামাটি জলের তলে
নেতা পালাই নানন ছলে
উঁচুটিলায় বসে দাদা
প্রেমে পড়েন খিচুড়ির!

সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি

শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে,আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে
ফিদেল কাস্ত্রো

আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।
ফিদেল কাস্ত্রো


আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ঠ্য
ইয়াসির আরাফাত

শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণী বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।।
গৌরী প্রসন্ন মজুমদার


কোনো জেল জুলুমই কোনোদিন আমাকে টলাতে পারেনি, কিন্তু মানুষের ভালবাসা আমাকে বিব্রত করে তুলেছে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর নিষিদ্ধ ছিল ৭ই মার্চের ভাষণ। রেডিও-টিভিতে এই ভাষণ প্রচার করা হতো না কখনো। অনেকেই মাইকে এই ভাষণ প্রচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন। আজ সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ১২ টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে, ২৫০০ বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ভাষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন।তার অনন্যসাধারন সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।
ইন্দিরা গান্ধী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতীষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর।
সাদ্দাম হোসেন

শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন
কেনেথা কাউণ্ডা

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম হয় নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে
জেমসলামন্d

শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই য়ের সাথে তুলনা করা যায়। জনগন তার কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুই ইয়ের মত তিনি এ দাবী করতে পারেন আমি ই রাষ্ট্র।
সংগৃহীত
আওয়ামিলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মত তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বুছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না
হেনরি কিসিঞ্জার

মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে
উইলিবান্ট