মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
বিয়ের অ্যাসাইনমেন্ট
-মাহ্দী কাবীর
পড়া লেখা শেষ করেছিস তো বাবা,এবার একটা বিয়ে কর।
- কী বল মা! আমার পড়া লেখা শেষ হয়েছে ক্যারিয়ার তো শুরুই করিনি! তারপর চাকরী, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। মা তুমি ও না।
- বাবা আমাদের এত অর্থ সম্পদ কি করবো তুই যদি কাজ করেই খেতে হয়।
- ওটা তো বাবার সম্পত্তি আমার তো কিছুই নেই।
- তাছাড়া সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে প্যারিস থেকে ডিগ্রি এনেছি বিয়ে করে বাবার সম্পত্তি খাওয়ার জন্য!
- তুই যা-ই বলিস না কেন, আমি তোর জন্য মেয়ে দেখছি!
-মা আমাকে অন্তত আরো কয়েকটা বছর ভাবতে দাও।
- তুই যা পারিস কর আমি আর কিছুই বলবো না।
খুব সহজে বিয়ে করা আমার কাছে খুব একটা সহজ ছিল না। জীবন সঙ্গি মন মতো না হলে ঘরে অশান্তি লেগেই থাকে। কেননা বিয়ের পর মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। সে পরিবর্তন হতে পারে ইতিবাচক বা নেতিবাচক। জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেছেন পৃথিবীতেই সেই ব্যক্তি-ই সুখী যার জীবনসঙ্গী মনের মতো হয় আবার সেই ব্যক্তি-ই অসুখী যার জীবন সঙ্গী মনের মত হয়না। কিন্তু আমি কীভাবে মাকে বুঝাবো বিয়ে করা এতো সহজ জিনিস নই। আপনি হয়তো দেখে থাকবেন বিভিন্ন দেশে বিবাহবিচ্ছেদ অহরহ ঘটে যাচ্ছে। তার এক মাত্র কারণই কিন্তু অসুখী। যখন দম্পতী যুগলে অমিলের বাসা বাধে, একে অপরকে বুঝতে চাইনা তখন-ই সেই অসুখ দেহে মনে ভর করে। আবার এটাও দেখে থাকবেন অনেক বৃদ্ধ দম্পতী যুগল আছে যারা এক মুহূর্তের জন্য কেউ কাউকে ছাড়া বাচতে পারেনা।
তাছাড়া আমি সমাজ বিজ্ঞানী সমাজকে নিয়ে আমার ভাবতে হবে তারপর বিয়ে। তাহলে আমার প্রথম এসাইনমেন্ট কি দিয়ে শুরু করা যেতে পারে! স্কুল ছাত্রদের আচার আচরণ স্বভাব চরিত্র সেটা দিয়েই শুরু করবো নাকি? বাংলাদেশের স্কুলে কি রকম পাঠ দান হচ্ছে সেটাই ভালো হবে।
আর হ্যা বলে রাখি আমি কিন্তু টাকা ও শিক্ষা দিয়ে জিডিপি নির্ণয় করি না। আমি সুখ দিয়ে জিডিপি নির্ণয় করি। আর হ্যা আমার নাম-ই তো বলা হল না আমি কাবীর। তাছাড়া পাহাড়ের প্রতি ও আমার ছোট থেকে-ই জোক ছিল। পাহাড়ি ছেলেমেয়েরা কীভাবে পড়ছে।
চলমান.....
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন