শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭

জোঁকার সমাচার

জোঁকার সমাচার
-মাহ্দী কাবীর
আসসালামু আলাইকুম। রম্য নিউজে সবাইকে স্বাগতম। এক গোপন সূত্রে জানা গেছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জোকার বার্গ ইংরেজি ও মান্ডারিন চাইনিজের পর বাংলা ভাষা শিখতে উঠেপড়ে লেগেছে! তাই সে বাংলাদেশে আসছে! এর দুটু কারণ বলেছেন বিশ্বের দুই দল বিশেষজ্ঞ। ঠাট্টা বিশেষজ্ঞ রম্য নিউজকে বলেছেন, মার্ক জুকার বার্গ তার ফেসবুক প্রোফাইলের
ভেটকি মারা( সারা মুখ ছড়াইয়া যে হাসি ) পিকের সকল কমেন্ট পড়তে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সে কমেন্টের রিপ্লাই দিতে আগ্রহী। যারা কমেন্ট করেছে সে(জোকার) অনেক কষ্টে জানতে পারলো সবাই বাঙ্গালি। কিন্তু বাঙ্গালিদের কমেন্টের রিপ্লাই না দিতে পেরে সে খুব কষ্টে ভুগছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে( জোকার) বাংলা ভাষা শিখতে বাংলাদেশে আসছে। অপরদিকে মসকারা বিশেষজ্ঞ রম্য নিউজকে বলেছেন, ফেসবুকের সিংহভাগ বাসিন্দা বাঙ্গালি। এটা নিয়ে নাকি অনেক আলোচনা হয়েছে। কীভাবে বাঙ্গালিদের ফেসবুক আইডি বেশি হয়! অনেক অনুসন্ধানের পর মশকারা বিশেষজ্ঞরা খুঁজে পেলেন যে বাংলাদেশের রিকশাচালক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা পর্যন্ত প্রতিটি বাঙ্গালির ৫/১০টি করে ফেসবুক একাউন্ট খোলা আছে।তাছাড়া ফেসবুক ব্যবহারকারী শীর্ষ শহর ঢাকা। সেই সংবাদ শুনে মার্ক জুকার বার্গ বাঙ্গালিদের দেখতে অস্থির হয়ে আছেন। জোকার বার্গ মনে করেন বাঙ্গালিরা আমায় ভালোবাসেই বলে এতো একাউন্ট খুলেছেন। তিনি সকল স্তরের বাঙ্গালিদের সাথে কথা বলতেন চান কিন্তু কীভাবে সম্ভব সে তো মূর্খ! সে তো বাংলা ভাষা একদমই জানেনা ! তাই সে যে কোনো ভাবেই হোক বাংলা ভাষা শিখবেই। এবং অবশেষে জোঁকারকে বাংলা ভাষা শিখাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা মোশারফ করিম। কেননা মোশারম করিম ও বিষয়টি টের পেয়েছে, মার্ক জোঁকার বার্গের মুখ খোলে হাসি দেওয়ার কারণে ফেসবুকের সকল মশা তার মুখে ডুকছে!! তাছাড়া বড় কথা হল বাঙ্গালিরা তাকে কমেন্টে এটাই বুঝাতে চেয়েছে। কিন্তু জোকার সাব তা বুঝতেছেনা এক মাত্র বাংলা লেখার কারণে।
মোশারফ করিম রম্য নিউজকে বলেছেন এই সমস্যা খুব তাড়াতাড়িই সমাধান করতে পারবেন।

তাছাড়া ইতিপূর্বের এক নিউজে বলেছিলাম, ফেসবুক আবিষ্কারের সেই ঘটনা। আজ আবার আপনাদের জন্য,
মার্ক জুকার বার্গের মায়ের স্বপ্ন ছিল তাকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবে। কিন্তু কিসের কী! সে এস এস সি পরীক্ষাতে অংকে চরম ভাবে খারাপ করে। তাই প্লাস তার ভাগ্যে জুটেনি। তাই তার মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল। এর পর মার্ক জুকার বার্গ ওয়াদা করলো আর কাউকে প্লাস পেতে সে দিবে না। কিন্তু কী ভাবে? অবশেষে মাথায় আইডিয়া আসলো ফেসবুকের। তারপর বাকিটা ইতিহাস। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে কাটিয়ে দিচ্ছে। এখন ছাত্রদের স্লোগান ছিল "থাকবে পথে আধার নেমে, তাই বলে কি রইবো থেমে" সেটা বাদ দিয়ে সবার মুখে এখন " সুখেদুঃখে ফেসবুকে"। ঠাট্টা বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে আমাদের রম্য নিউজকে বলেন , জনাব মার্ক জোকার বার্গের আইডিয়াটি চরম ভাবে কাজ করেছে। কেননা আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তু জনাব জোঁকার সাবের ফেসবুক চালাতে গিয়ে নুয়ে থাকতে থাকতে বিশ্বের সকল শিক্ষার্থেদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে।এর সাথে সাথে ফেসবুকের নীল সাদা আলো সারাদিন দেখতে দেখতে অনেকেই অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কেউ বুক পড়ে না সবাই ফেসবুকই পড়ে।তাই যথাযথ ভাবেই প্রতিবছর পরীক্ষাই ফেল করছে বিশ্বের কোটি কোটি শিক্ষার্থী। তাছাড়া কুমিল্লা বোর্ডের অবস্থার কথা তো জানেন-ই।
ঠাট্টা বিশেষজ্ঞদের সাথে এক মত হয়েছেন মশকরা বিশেষজ্ঞ সহ বিশ্বের নামকরা এক্সপার্টেরা।

আজ এতোটুকুই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর রম্য নিউজের সাথে হাসতে থাকুন। দেখা হবে অন্য কোনো নিউজে খোদাহাফেজ।

শিক্ষার্থী : পদার্থ বিজ্ঞান, সরকারী সিটি কলেজ,চট্টগ্রাম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন