মীম,
স্মৃতি কি জানো? ক্ষত!
একটা বিষাক্ত ক্ষত,
একটুকরো স্মৃতি
কাঠঠোকরো পাখিটার মত
ঠোকরে ঠোকরে খাই অবিরত।
তুমি কেমন আছো?
আমি! হয়তো, ভালো আছি।
নিজের অজান্তে!
একটুকরো স্মৃতি নামক ক্ষত নিয়ে।
সে দিন যখন তোমার অবাধ্য লম্বা চুল
চুলের মত্ততা সামলাতে পারছিলে না। অবাধ্য চুল বাতাসের সঙ্গে উন্মাদ কোলাহলে মেতেছিল
অতঃপর চুলের গন্ধ থুবড়ে পড়েছিল
আমার মুখের পরে।
আমার প্রাণের পরে পড়েছিল
তোমার নরম শরীরের গন্ধ।
নির্বাক হয়ে তাকিয়েছিলাম
তোমার মুখের পানে,
তাকিয়ে ছিলাম তোমার মৃদু
হাসির উচ্ছ্বাসে
প্রাণে প্রাণে কত মিল
কারুকার্য আখি যুগলের চঞ্চলতায়।
তোমার আখি পানে যুগ যুগ ধরে
তাকালেও এই সাধ মিটবে না।
আমার চোখের পরে তোমার চোখ পরে
লজ্জায় মুখ লুকিয়েছিলে।
আবারও দেখার একটু প্রচেষ্টা।
'ভালবাসি' শব্দটি নাকি মিথ্যে ছলনা
তাই সেদিন সে-ই রকম করে বলা হল না।
বলা হল না ভালবাসি,
হৃদয় জানে আমরা কতটুকু কাছাকাছি।
অতঃপর কত কাল গত হল
কাছাকাছি থেকেও বলা হল না ভালবাসি!
সে-ই দিন তোমায় ভালবাসি বলতে গিয়ে
সাত পাঁচ ভেবে বলা হল না।
সভ্য সমাজের কাছে ভালবাসা
নামক শব্দটি নাকি বড়ই অসভ্য।
আমি অসভ্য হতে চাইনি
তাই তোমার একটুকরো স্মৃতি নিয়ে
ভালোবাসা নামক অসভ্যকে ইতি দিয়ে
হৃদয়ের কৃষ্ণগহ্বরে তাকে রেখে দিলাম।
কিন্তু আজ সেই ভালোবাসায় কলঙ্ক নেই।
তাই না বলা কথা আজ বলে দিলাম।
"মীম, আমি তোমায় ভালবাসি।"
ইতি
তোমায় নিভৃতে ভালোবেসে যাওয়া সেই কবি 'কবীর'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন