শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭

ছোট কবিতা নিয়ে আলোচনা

বিশ্বের প্রধান প্রধান ভাষার সাহিত্যে দুই পঙ্ক্তি, তিন পঙ্ক্তি, চার পঙ্ক্তি কিংবা পাঁচ পঙ্ক্তিসংবলিত ক্ষুদ্র অবয়বের কবিতা রয়েছে। এগুলো মূলত অন্ত্যমিল যুক্ত পদ্য বা ছড়া। তবে পঙ্ক্তির ভিন্নতা বা আঙ্গিকগত দিক দিয়ে এগুলো স্বতন্ত্র নাম ও বৈশিষ্ট্যে পরিচিত। দুই পঙ্ক্তিতে রচিত ইংরেজি সাহিত্য রয়েছে এপিগ্রাম, বাংলা সাহিত্যে রয়েছে প্রবাদ-প্রবচন ও সংস্কৃত সাহিত্যে রয়েছে শ্লোক। তবে এগুলো কখনো কখনো দু’য়ের অধিক পঙ্ক্তিতেও রচিত হয়ে থাকে। তিন পঙ্ক্তিতে রচিত কবিতা বা ছড়ার নাম ‘হাইকু’। এর উদ্ভব ষোল শতকেÑ জাপানে। এর নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রাকৃতিক দৃশ্যবস্তুকে নিয়ে রচিত এ হাইকুতে ১৭টি শব্দাংশ থাকেÑ যা ৫+৭+৫ এ ভাগ হয়ে তিনটি পঙ্ক্তিতে বিন্যস্ত হয়। এর মিলবিন্যাস কখক। চার পঙ্ক্তিতে রচিত ছড়া বা কবিতার নাম রুবাইয়াত, যার উদ্ভব দশম শতকেÑ পারস্যে। এই শ্রেণীর ছড়ায় নির্ধারিত কোনো বিষয়বস্তু থাকে না, তবে ভাব ও ভাষার দিক দিয়ে চতুর্থ পঙ্ক্তিটি ব্যঞ্জনাময় হয়ে ওঠে। এতে সাধারণত ২৪টি শব্দ থাকে, যার মিলবিন্যাস ককখক। পাঁচ পঙ্ক্তি বিশিষ্ট ছড়াকে লিমেরিক বলা হয়, যার উদ্ভব আয়ারল্যান্ডে। পাঁচ পঙ্ক্তির লিমেরিকের প্রথম দ্বিতীয় ও পঞ্চম পঙ্ক্তি দীর্ঘ এবং অন্ত্যমিলযুক্ত সমমাত্রার। তৃতীয় ও চতুর্থ পঙ্ক্তি অপেক্ষাকৃত ছোট সমমাত্রার স্বতন্ত্র অন্ত্যমিলযুক্ত। এর মিলবিন্যাস ককখখক।
Collins Dictionary-তে লিমেরিকের সংজ্ঞা আছে, ‘A limerick is a humorous poem which has five lines’. গার্শন লেগম্যান বলেছেন, ‘লিমেরিক হলো শিক্ষিত শাহরিক মানুষের ফোকলোর’। আভিধানিক ভাষায়Ñ ‘লিমেরিক প্রায়শই অর্থবিহীন, উদ্ভট এবং সচরাচর অশ্লীল, অশোভন।’
লিমেরিক প্রথম কবে কে লিখেছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে ১৮২০ সালে প্রকাশিত
‘The history of sixteen wonderful old women’ গ্রন্থে একটি লিমেরিক পাওয়া যায়। এর লেখক অজ্ঞাত। এটিই প্রথম লিমেরিক কি না তাও নিশ্চিত নয়। এরপর ১৮২১ সালে রিচার্ড স্কাফটন শার্প লিখেন। ইংরেজি সাহিত্যে লিমেরিক লিখে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন অ্যাডওয়ার্ড লিয়ার। ১৮৪৬ সালে প্রকাশিত তার বিখ্যাত গ্রন্থ A book of Nonsense বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বাংলা লিমেরিক প্রথম কবে কে লেখেন তা জানা যায় না। তবে বাংলাভাষায় সচেতন কিংবা স্বতঃফূর্তভাবে অনেকেই লিমেরিক লিখেছেন। এদের মধ্যে প্রধান কবিরাও রয়েছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিমেরিক লিখেছেন। এগুলো তার ছড়াগ্রন্থের মধ্যে সংযোজিত হয়েছে। ছড়া বা লিমেরিকের বৈশিষ্ট্য নিয়ে রচিত রবীন্দ্রনাথের একটি লিমেরিক নিচে তুলে ধরা হলোÑ
মন উড়–্উড়– চোখ ঢুলুঢুলু ম্নান মুখখানি কাঁদুনিক
আলু-থালু ভাষা, ভাব এলোমেলো ছন্দটা নিরবাঁধুনিক।
পাঠকেরা বলে,‘এ তো নয় সোজা
বুঝি কি বুঝি নে যায় না তো সে বোঝা’।
কবি বলে, তার কারণ আমার কবিতার ছাঁদ আধুনিক।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামও লিমেরিক লিখেছেন। এসব লিমেরিক রবীন্দ্রনাথের মতোই কবিতাগ্রন্থের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত। তার এসব লিমেরিকে ছড়ার বিষয়বস্তু বা চটুলতার রূপই ধরা পড়েছেÑ
ওরে ছড়াদার, ওরে দ্যাট পাল্লাদার, মস্তবড় ‘ম্যাড’
চেহারাটা ‘মানকি লাইক’ দেখতে ভারী ‘ক্যাড’।
‘মানকি লড়বে বাবর কা সাথ
ইয়ে বড় তাজ্জব বাত!
জানে না ও ছোট্ট হলেও হামভি ‘লায়ন-ল্যাড’।
বাংলাদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে লিমেরিকের চর্চা বেশি। দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ১৯৮৪ সালের আগস্ট মাসে ‘বাংলা লিমেরিক সংগ্রহ’ প্রকাশিত হয। এর পূর্বে (১৯৮৬) সত্যজিৎ রায় অ্যাডওয়ার্ড লিয়ারের কিছু লিমেরিকের অনুবাদ করে ‘তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম’ নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। তবে স্বতন্ত্র গ্রন্থ হিসেবে সম্ভবত বাংলাদেশেই লিমেরিকের বই বের হয়। ১৯৭৫ সালে ছড়াকার এখলাসউদ্দিন আহমদের ‘বৈঠমী ছড়া’ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। এতে ২০টি লিমেরিক স্থান পায়। এ গ্রন্থে অধিকাংশ লিমেরিকই রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন। এ গ্রন্থের এমন একটি লিমেরিকÑ
নেবার বেলা দিলটা দরাজ, দেবার বেলা মুঠোÑ
খোলেন না আর বেবাক সাজেন জয় জগন্নাথ ঠঁটো।
কথায় বেবাক ভেজান চিড়ে
ভাবখানা দেন কলজে ছিঁড়ে
কিন্তু হেঁ হেঁ ভাত চেইলেই গলায় পোতেন খুঁটো।
সাধারণত সমসাময়িক ঘটনাবলিকে হাস্যরস ও ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপের মাধ্যমে লিমেরিকে উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের প্রধান কবি-ছড়াকারগণ ব্যঙ্গছড়ার সঙ্গে এমন অনেক লিমেরিক লিখেছেন। এঁদের মধ্যে ছড়াকার সুকুমার বড়–য়া অগ্রগণ্য। তার ছড়াগ্রন্থসমূহে অনেক লিমেরিক স্থান পেয়েছে। তাঁর একটি লিমেরিকÑ
নিয়ে দুটো খেজুরের রসে ভরা ঠিল্লা
নানাজান এসেছিল আন্দরকিল্লা
মাস্তান কটা জুটে
সব খেলো লুটে-পুটে
খালি হাতে নানা তাই চলেছে কুমিল্লা।
সুকুমার বড়–য়াসহ বাংলাদেশের প্রায় ছড়াকারই লিমেরিক লিখেছেন। এঁদের মধ্যে খালেক বিন জয়েন উদদীন, আমীরুল ইসলাম, ফারুক নওয়াজ, আসলাম সানী, রহীম শাহ, জসীম মেহবুব, শিশির বড়–য়া, শূচি সৈয়দ, মাহফুজুর রহমান আকন্দ, আশরাফ পিন্টু প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। এঁদের লিমেরিকে কখনো অনাবিল হাস্যরসের প্রাবল্য দেখা যায়; আবার কখনো হাস্যরসের মধ্যে ফুটে উঠেছে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপের কশাঘাত এবং সমাজের বাস্তব চিত্র। এখন এমন কিছু লিমেরিকের দৃষ্টান্ত নিচে তুলে ধরছি :
রাজার মেয়ে নাচলো সুখে চৌদোলাতে পা তুলি
তাল মেলাতে হারিয়ে গেল লক্ষ টাকার মাদুলি।
খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী
নিয়োগ করেন তিনশ’ যন্ত্রী
ঢোলক বাজে পুরস্কারের একটা রুপোর আধুলি।
(খালেক বিন জয়েন উদদীন)
হায়রে সাধের ঢাকার শহর, যেন টাকার যন্ত্র
হেথায় লোকের প্রাণ বাঁচে না, শুধুই টাকার মন্ত্র।
টাকাই যেন মানুষ বানায়
টাকা হলেই সভ্য মানায়
ঢাকার শহর, টাকার শহর, যেন টাকার তন্ত্র।
(আসলাম সানী)
বাড়িঅলা হাজার টাকায় তেল মাখে নিজ চরকার
নতুন বাড়ি যাচ্চে এখন রুস্তম আলী সরকার।
বাড়ি ভাড়া বাড়ছে দেখে
রুস্তম আলী বলেন হেঁকে
‘ভালোবাসা বদল আমার ভালো বাসা দরকার’।
(রহীম শাহ)
ঠ্যাং ছড়িয়ে গান ধরেছে লাফিয়ে
বিকট শব্দে শ্রোতা ওঠেন হাঁফিয়ে।
হঠাৎ শিল্পী কুপোকাত
আয়োজকের মাথায় হাত
শ্রোতারা সব কুয়োয় পড়ে ঝাঁপিয়ে।
(জসীম মেহবুব)
নিত্য-নতুন দিচ্ছ গায়ে শার্ট
পোশাক-আশাক তাই তো ফিটফাট।
বোলচালেতে খুবই ভালো
সাদাকে তাই বানাও কালো
বাঁধলে বাঁধা, ঢুকাও কানে কাঠ।
(আশরাফ পিন্টু)
ইলতুৎ আলীদ-এর ‘মেঘের উপর মেঘ করেছে’ (২০১১) লিমেরিক গ্রন্থে মোট ১৩২টি লিমেরিক আছে। যেগুলোতে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। তিনি প্রতিটি লিমেরিক শুরু করেছেন ‘এক যে আছেন’ বা ‘এক যে আছে’ শব্দগুচ্ছ দিয়ে। অবশ্য এই বৈশিষ্ট্যের লিমেরিক লিখতে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন ইংরেজ লিমেরিকার এডওয়ার্ড লিয়ারের ÔThere was’ শব্দ ব্যবহার থেকে। তাঁর লিমেরিকগুলোতে সমকালীন সমাজবাস্তবতা ও রাজনৈতিকচিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। যেমনÑ
এক যে আছে দেশÑ তার নাম বঙ্গ
চৌকিদার ঢিট করে সে বড় রঙ্গ।
রঙ্গরসের জোয়ার জলে
ইকড়ি-মিকড়ি খেলা চলে
বাপ-দাদাদের বাস্তুভিটায় আটপ্রহরের জঙ্গ।
যদিও কবি-সাহিত্যিকেরা কোনো বিশেষ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নন, তব্ওু সাহিত্যের ইতিহাসের ক্ষেত্রে কিংবা সুনির্দিষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা অঞ্চলভিত্তিক পরিচয় এসে যায়। লিমেরিক চর্চার ক্ষেত্রেও এমন পরিচয়ের কথা এসে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি লিমেরিকের চর্চা হয়েছে বা হচ্ছে চট্টগ্রামে। লিমেরিকগ্রন্থ, সংকলন, পত্রপত্রিকা প্রভৃতি চট্টগ্রাম থেকেই বেশি প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯০ সালে অনিল চক্রবর্তী বের করেন ‘লড়াকু লিমেরিক’ নামের গ্রন্থ। ১৯৯৯ সালে নুর মোহাম্মদ রফিকের ‘বত্রিশ লিমেরিক’ বের হয়। ২০০০ সালে রমজান মাহমুদের ‘একশো লিমেরিক’ প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে মাহবুবুল আলম বের করেন ‘তাক দুমাদুম লিমেরিক’ গ্রন্থ। এখন রমজান মাহমুদের ‘একশো লিমেরিক’ থেকে একটি দৃষ্টান্ত দেয়া যাকÑ
ঘরে এলো মেহমান খালি খালি ডেকছি
হায়! হায়! কী যে করি, বড় ঠেকা ঠেকছি।
তাড়াতাড়ি ভেবে নিয়ে
বড়রোগী সেজে গিয়ে
অতিথিকে বললাম, ‘ডেকে আনো টেক্সি’।
লিমেরিকগ্রন্থ ছাড়্ওা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছড়া পত্রিকাগুলোতে লিমেরিক ছাপা হচ্ছে এবং লিমেরিক সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন সম্পাদিত ‘ছড়া : সাম্প্রতিক লিমেরিক সংখ্যা’ ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয়। এতে ৬৮ জনের ১২৮টি লিমেরিক স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মাহবুবুল হাসান সম্পাদিত ‘ছড়াপত্রিকা’, রাশেদ রউফ সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘ছড়াসাহিত্য’, উৎপল কান্তি বড়–য়া সম্পাদিত ‘লিমেরিক’, ইন্দ্রজিত সরকার সম্পাদিত ‘ছন্দ’ রমজান মাহমুদ সম্পাদিত ‘ছড়ার কাগজ’ প্রভৃতি ছড়াবিষয়ক লিটল ম্যাগাজিনে যতœসহকারে লিমেরিক প্রকাশিত হতে দেখা যায়। এ ছাড়া শিশু-কিশোর পত্রিকা এবং দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতায় ছড়ার সঙ্গে লিমেরিকও প্রকাশিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ‘টইটম্বুর’ পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পত্রিকাটি ‘লিমেরিক’ শিরোনাম দিয়ে আলাদাভাবে লিমেরিককে স্থান দিয়েছে; এতে লিমেরিকে স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পেয়েছে।
কবিরা সামাজিক জীব। কাজেই ছড়া হোক আর লিমেরিকই হোক তাদের লেখনীতে সমাজ-সংসারের কথা আসবে Ñএটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া কবি-সাহিত্যিকের
া সংবেদনশীল হওয়ার কারণে তারা যেমন সমাজের অসঙ্গতির প্রতি উচ্চকিত হয়ে ওঠেন তেমনি দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয়গুলো তাদের হৃদয়কে প্রবলভাবে নাড়া দেয়।
লিমেরিকের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পাঁচ পঙ্ক্তির মাত্রাবিন্যাস ঠিক রেখে ছড়াকার আমীরুল ইসলাম একই অন্ত্যমিল দিয়ে (অর্থাৎ ককককক) লিখেছেন নিচের লিমেরিকটিÑ
চিড়িয়াখানায় এক যে ছিল গরিলা
খাঁচা ভেঙে হঠাৎ কি কাম করিলা
গাছের ডালে চড়িলা
লম্ফ দিয়া পড়িলা
ট্রাকের চাকায় অপঘাতে মরিলা।
শেষপঙ্ক্তির দৈর্ঘ্য ঠিক রেখে প্রথম চার পঙ্ক্তি সঙ্কুচিত করে লিমেরিক লিখেছেন কেউ কেউÑ
জ্যোতির্ময় অশ্বডিম্ব
পেড়েছেন হাট্টিমাটিম্ব
আঁধারে রূপসী বাংলা
নাচে যেন বুড়ো আংলা
নাচের তালে তুরুক বলে: হে ডিম্ব! যুগ যুগ জিম্ব।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে লিমেরিকের উত্থান আশাব্যঞ্জক। প্রত্যেক কবির লেখনীতে ছড়ার পাশাপাশি লিমেরিকও স্থান পেয়েছে। বর্তমানে স্বতন্ত্রভাবে লিমেরিকচর্চা হচ্ছে এবং স্বতন্ত্রভাবে লিমেরিক গ্রন্থও বেরুচ্ছে। কবিতা যেমন পদ্যের গঠন ও গতানুগতিকতা থেকে মুক্তি পেয়েছে তেমনি লিমেরিকেরও গঠনগত দিক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ছড়ার সহোদরা লিমেরিক আরো নতুনত্ব নিয়ে এগিয়ে যাবেÑ সামনের দিকে।
সংগ্রহ : নয়া দিগন্ত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন